প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:৩০ পিএম (ভিজিট : ১৬৬)
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মাদ্রাসার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে শিক্ষকের উপর শিক্ষার্থীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার পাটাবুগা দাখিল মাদ্রাসায় পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করলে পরীক্ষা বন্ধ করে দেয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
মাদ্রাসা শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের পাটাবুগা দাখিল মাদ্রাসায় সকাল ১০টা থেকে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেনীর শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়। মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক রমজান আলী পরীক্ষার ২ নং কক্ষে সকাল ১০ থেকে পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করছিলেন। হঠাৎ করে মাদ্রাসার কাম-কম্পিউটার অপারেটর সাইফুল ইসলাম ও ৯ম শ্রেনীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী রাকিব এর নেতৃত্বে আল আমীন, শাকিল, সোহান, আপেল, মাহিমকে সাথে নিয়ে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক রমজান আলীর কলার ধরে টানাহেঁচড়া কিল-ঘুষি শুরু করে। শিক্ষক রমজান আলীকে মারধরের হাত থেকে রক্ষা করতে পরীক্ষার হলের ২ নং কক্ষের দরজা লাগিয়ে দিয়ে অন্যান্য পরীক্ষার্থীরা। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে মাদ্রাসার আয়া আঞ্জুমানোয়ারা ফিরাতে গেলে তার মোবাইল, শিক্ষক রমজান আলীর মোটর সাইকেলের চাবি নিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় মাদ্রাসার সুপার আইয়ূব আলী শিক্ষার্থীদের বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত না করে তার কক্ষে বসে থাকতে দেখে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক রঞ্জু, সাবেক বিদ্যুৎসাহী সদস্য আব্দুল আজিজ ও সাবেক সদস্য আব্দুল মান্নান সহ স্থানীয় লোকজন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করার অনুরোধ করেন। এ ছাড়াও মাদ্রাসার নৈশ্য প্রহরী নজরুল ইসলাম (রাজীব) পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করে।
মাদ্রাসার পরিস্থিতির ইন্ধনদাতা হিসেবে মাদ্রাসার সুপার আইয়ুব আলী ও শরীর চর্চা শিক্ষক এ কে এম আমিনুল হক এবং মাদ্রাসার অফিস সহকারী (কাম-কম্পিউটার অপারেটর) সাইফুল ইসলাম জড়িত বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার আইয়ুব আলী জানান, এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ও একডেমিক সুপার ভাইজার রুহুল আমীন বেগ এবং সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
তিনি আরও বলেন, আমি এ ঘটনার কোন ইন্ধন যোগায়নি বলে জানান তিনি।
জানতে চাইলে পাটাবুগা দাখিল মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, ঘটনার খবর পেয়ে বিষয়টি ওসি সাহেব কে অবগত করে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং একাডেমিক সুপারভাইজারকে পাঠানো হয়। এ বিষয়টি তদন্ত করে দোষীর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
সময়ের আলো/জেডআই
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
দেশ গড়তে এক বিন্দুতে মিলে যাক সব মত ও পথ
ওস্তাদ জাকির হোসেন গুরুতর অসুস্থ
প্রতিটি সরকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছে
আমার হাঁটুতে এখনও মোটরসাইলো রয়ে গেছে
একাত্তরের গর্বিত পুলিশ চব্বিশে এসে বিতর্কিত
কেয়ামতের তিনটি আলামত
বিদেশে চিকিৎসায় বছরে খরচ ৫ বিলিয়ন ডলার
বাঁশখালী পৌরসভা শ্রমিক লীগ নেতা সন্ত্রাসী আনছার গ্রেফতার
‘অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর কোনো দুর্নীতি হয়নি’
ঢাবি ছাত্রলীগের নেত্রী নিশিতা নদী গ্রেফতার
সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী মহার্ঘ ভাতা পাবেন
কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্ত শেষ
রাষ্ট্র গঠনে বিএনপির ৩১ দফা প্রচারে রামপালে সমাবেশ