প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫৮ এএম (ভিজিট : ১১৪)
সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় ঘননকুয়াশায় আবৃত, জনজীবন দুর্ভোগে পড়েছে। তাপমাত্রা উঠানামা ও টানা ঘন কুয়াশার কারণে পাল্লা দিয়েছে বেড়েছে মানুষের নানান শীতজনিত রোগ। তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়েছে পড়েছে মানুষের জনজীবন। সব থেকে বেশি কষ্ট হচ্ছে তৃণমূল মানুষের।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সোমবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সকালে তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্য জানান জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায়।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোর থেকেই মেঘ-কুয়াশায় আবৃত এ জেলা। বৃষ্টির মতো ঝরছে হিমেল শিশির। রাতভর ঝরে কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বরফ শিশির। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। প্রয়োজনের বাইরে ঘর থেকে শহরের মানুষজন বের না হলেও জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেরিয়েছেন।
এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের পেশাজীবীর মধ্যে পাথর-চা শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যানচালক থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রমজীবীরা বিপাকে পড়েছেন। শীতের কারণে কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা। বিপাকে পড়েছেন চাষিরাও। তারাও ঠান্ডার প্রকোপের কারণে খেতখামারে কাজ করতে পারছেন না। তীব্র ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত পাথর শ্রমিক, দিনমজুর ও ভ্যানচালকরা জানান, প্রচন্ড শীত।
ঘন কুয়াশার মধ্যে জীবিকার তাগিদে কাজে যেতে হচ্ছে। শীতের কারণে কাজ কামও কমে গেছে। কাজ করলে পেটে ভাত জুটে। পেটের ক্ষিধে তো ঠান্ডা বুঝে না। এমনিতে আয় রোজগার কম, তার মধ্যে শীতের তীব্রতা। এসব দুর্ভোগের কারণে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এদিকে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।
জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, কিছু দিন থেকে বেশি সময় ধরে ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন এ জনপদ। সোমবার ১০ টার পর সূর্য দেখা গেলেও সে রোদে ছিল না উষ্ণতা। বিকেল থেকেই আবার হিমেল বাতাস বইছে।
সময়ের আলো/এএ/