সঠিক ভোটার তালিকা প্রনয়নে ‘বাড়ি বাড়ি যাওয়া নয়, আপগ্রেড (মেশিন)’ চায় বিএনপি। দলটি মনে করে, বাড়ি বাড়ি যাওয়া এটা অত্যন্ত সময় সাপেক্ষ্য এবং অপ্রয়োজনীয় এবং এটাতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। বাড়ি না গিয়ে কম্পিউটার এআই পদ্ধতির মাধ্যমে করা উচিত। সেটা অধিক সঠিক হবে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের নির্বাচন সংস্কার বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি কোনদিন কে ১৮ মাস হয়ে যাবো সেটাও কিন্তু কম্পিউটার করে দিতে পারে। সেটার জন্য বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন নেই। যিনি মারা গেছেন তার নামটা অটোমেটিক্যালি বাদ চলে যাবে। এই বিষয় (ভোটার তালিকা) আমরা সংস্কার প্রস্তাবে স্পষ্ট করেছে এটা আপগ্রেড হবে।
মঈন খান বিগত সরকারের আমলে আরপিও‘র সংশোধনে যে সম্পুরক আদেশ এনেছিলো তা বাতিল, নির্বাচনী পরিচালনায় কিছু বিধিমালা সংশোধন, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণবিধিমালা ও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের নীতিমালা সংশোধন, নির্বাচন পর্যবেক্ষন নীতিমালা আপগ্রেড করা, নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি, গণমাধ্যমের নির্বাচনী আচরণ বিধিমালাসহ ১০ দফা সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেন। এই সংস্কার প্রস্তাবসমূহ তারা সরকারের গঠিত নির্বাচন সংস্কার কমিশনের কাছে দিয়েছে।
তিনি বলেন, লেভেল প্ল্যায়িং ফিল্ড তৈরি জন্য যাতে সত্যিকার ভাবে মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে এবং জনগনের সত্যিকার প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে, ডামি প্রতিনিধি না, ভুয়া প্রতিনিধি না সেজন্য আমাদের এই সংস্কার প্রস্তাব।”
‘সংস্কার করে নির্বাচনের জন্য ৩/৪ মাসই যথেষ্ট’
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা যেসব প্রস্তাব দিয়েছি সেগুলো মেনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে খুব বেশি বিলম্ব হওয়ার প্রয়োজন হয় না। যাদের নেতৃত্বে যেসব অপকর্ম হয়েছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তারা বিতাড়িত হয়েছে পলায়ন করেছে। যাদের মাধ্যমে অপকর্ম করা হয়েছে তাদের ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছি যাতে তারা আগামীতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় না থাকে সেই প্রস্তাব আমরা করেছি।
স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভোটার তালিকা প্রণয়ন, নতুন ভোটার সংযোজন, কি কি ভুল-ভ্রান্তি আছে, ভুয়া ভোটার স্ক্রটনি করা তারপরে নির্বাচন কাজ অফিসার নিয়োগ, ডিলিমিটেশন ইত্যাদি সব কাজ গুছাতে প্রাকটিক্যালি ২/৩ মাসের বেশি সময় লাগার কথা না। সরকারের আরো সংস্কার প্রশাসনিক সংস্কার, জুডিশিয়াল সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংস্কার আছে এগুলো সব সম্পন্ন করে নির্বাচন উপহার দিতে আমাদের মনে হয় না খুব বেশি হলে ৩/৪ মাসের বেশি সময় লাগবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।