প্রকাশ: রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯:০৩ পিএম (ভিজিট : ১৫২)
যথাযোগ্য মর্যাদায় কুমিল্লায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। দিনভর দিবসটি স্মরণ করেন জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, নতুন প্রজন্ম ও বিভিন্ন সংগঠক ও রাজনৈতিক দল। রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মাঠ থেকে জেলা প্রশাসক ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগ মিছিল বের করা হয়। বিজয় মিছিলে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক হাজী আমিনুল ইসলাম ইয়াছিন।
পরে র্যালিটি কুমিল্লার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদর্শন করে টাউন হলের মাঠে এসে সমাবেশ হয়। এসময় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিজয় র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। এসময় কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিনুর কায়সার ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার সফিউল আহমেদ বাবুল উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপির (কুমিল্লা বিভাগ) সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাদুল বারী আবু,মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু,বাংলাদেশ জামাত ইসলামের দক্ষিণ জেলা আমির অ্যাডভোকেট শাহজাহান খানসহ প্রমুখ।
ইতিহাস বলছে, ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ভারতীয় মিত্রবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধা গেরিলারা ৩ দিক থেকে কুমিল্লা বিমানবন্দরে পাক বাহিনীর ২২ বেলুচ রেজিমেন্টের প্রধান ঘাঁটিতে আক্রমণ শুরু করেন। মিত্রবাহিনীর ১১ গুর্খা রেজিমেন্টের লেফটেন্যান্ট কর্নেল আর কে মজুমদারের নেতৃত্বে কুমিল্লা বিমানবন্দরের ৩ দিক থেকে আক্রমণ পরিচালনা করেন। মুক্তিবাহিনীর গেরিলাদের মরণপণ আক্রমণে পাকিস্তানি দখলদার সেনারা তাদের পরিণতি বুঝতে পারে। শেষ রাতে পাকিস্তানি আর্মি তাদের প্রতিরোধ পরিখাগুলো দ্রুত পরিত্যাগ করে ১১ কিলোমিটার দূরে ময়নামতি সেনানিবাসে আত্মগোপন করে।
ফলে ভোরে সূর্যের আলো না ফুটার আগেই থেমে যায় বৃষ্টির মতো গোলাবর্ষণের শব্দ। এসময় এয়ারপোর্ট সংলগ্ন গ্রাম নেউরা, রাজাপাড়া, ঢুলিপাড়া লক্ষ্মীপুর, চৌয়ারা এলাকার বাসিন্দারা পাকসেনাদের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
সময়ের আলো/আরআই