প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায়
প্রকাশ: রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:৩৩ পিএম (ভিজিট : ৩১৪)
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, বিগত বছরগুলোর মত এ বছর ১ জানুয়ারি বই উৎসব হচ্ছে না, তবে জানুয়ারি মাসের মধ্যে সকল প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে। প্রতিটি শ্রেণির বইয়ের কিছু অধ্যায় পরিমার্জন ও পরিবর্তন করার কারণে বই ছাপাতে দেরি হচ্ছে। নতুন ভাবে টেন্ডার দিতে হয়েছে। সে জন্য শিক্ষার্থীদের হাতে বই পোঁছাতে কিছুটা বিলম্বিত হবে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় মিড-ডে-মিল এর আওতায় আসবে। প্রথম পর্যায়ে দেশের ১৫০টি উপজেলার সকল বিদ্যালয়ে এটি চালু হবে। দক্ষিণ এশিয়াতে কেবল বাংলাদেশে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ সবচেয়ে কম, বাজেটের মাত্র দুই শতাংশ। কিন্তু ইউনেস্কোর মতে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাজেটের ছয় শতাংশ হওয়া উচিত। শিক্ষকদের আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদার উন্নতি ঘটানো এখন সময়ের দাবি।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকারের সভাপতিত্বে সভায় পুলিশের অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি জয়দেব চৌধুরী বক্তৃতা করেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. হুসাইন শওকত। অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পিইডিপি-৪) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক মো. তবিবুর রহমান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. ফিরোজ শাহ, বিভাগের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসকসহ বিভাগীয় পর্যায়ের দফতরগুলোর কর্মকর্তারা অংশ নেন।
এ সময় তারা বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতি করতে হলে প্রথমেই মেধাভিত্তিক নিয়োগ ও পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় বিদ্যমান বিভিন্ন সংকটে সমাধান দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুমে সার্বক্ষণিক অবস্থান করার মানসিকতা পরিবর্তনে বিভিন্ন পরামর্শ দেন কর্মকর্তারা। পরে উপদেষ্টা একই স্থানে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা আরও বলেন, যেসকল বিদ্যালয়গুলোয় খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থী আছে সেগুলোকে পার্শ্ববর্তী স্কুলের সাথে একীভূত করার চিন্তা রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের মতো কোটা না রাখার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সাধারণভাবে অন্য চাকরিতে যেমন ৭ শতাংশ কোটা রয়েছে, এখানেও তেমনটি থাকবে। তবে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও গণিতে দক্ষ করে তুলতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মোট নিয়োগের ২০ শতাংশ গণিত ও বিজ্ঞানের বিষয়গুলো থেকে পাস করাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। গাইড বই ও প্রাইভেট কোচিং এর বিষয়টি নিরুৎসাহিত করতে হবে।
সময়ের আলো/আরআই