প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫:৩২ পিএম (ভিজিট : ২৫৪)
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের পর আখাউড়া সীমান্ত অভিমুখে বিজেপি সমর্থকদের লংমার্চ কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় আখাউড়া সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এছাড়া আখাউড়া স্থলবন্দরেও বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া গতকাল (সোমবার) থেকে আগরতলায় কোনো বাংলাদেশি যাত্রীকে হোটেল ভাড়া দেওয়া হচ্ছে না। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার (২ ডিসেম্বর) আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধরা। এরপর আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে আখাউড়া সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিজেপি সমর্থকরা। এর প্রেক্ষিতে দুদেশের সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আখাউড়া স্থলবন্দরে স্বাভাবিকের চেয়ে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে গতকাল থেকে আগরতলায় হোটেল ভাড়া না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশি যাত্রীরা। বাধ্য হয়ে যাত্রীরা প্রয়োজনীয় কাজ না সেরেই দেশে ফিরে আসছেন। এছাড়া বিক্ষোভের কারণে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত ভারতে রপ্তানিকৃত পণ্য আগরতলা স্থলবন্দর থেকে আমদানিকারক খালাস করতে পারেনি।
ভারত থেকে আসা কয়েকজন বাংলাদেশি যাত্রী জানান, গতকাল যারা আগরতলায় গিয়েছেন তাদেরকে শহরের ভেতরে কোনো হোটেল ভাড়া দেওয়া হয়নি। অনেকেই বাধ্য হয়ে শহরের বাইরে গিয়ে হোটেলে থেকেছেন। এছাড়া মার্কেটে কেনাকাটা করতে গেলেও বাংলাদেশি পরিচয় পেলে কিছু বিক্রি করছে না। এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দেশটিতে ভ্রমণরত বাংলাদেশিরা। এছাড়া আগরতলা ইমিগ্রেশনেও বাংলাদেশি যাত্রীদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা।
আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাইরুল আলম জানান, ভারত ফেরত যাত্রীরা নানা অভিযোগ জানাচ্ছেন। তাদেরকে হোটেল ভাড়া দেওয়া হচ্ছে না এবং ইমিগ্রেশনেও হয়রানি করা হচ্ছে। এসব কারণে মঙ্গলবার যাত্রী পারাপার সীমিত ছিল। বিষয়গুলো আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ. এম. জাবের বিন জব্বার জানান, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে স্থলবন্দরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সময়ের আলো/আরআই