প্রকাশ: সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪:০৯ এএম (ভিজিট : ৬৮০)
গান শুনতে অনেকেই ভালোবাসেন। জীবনের সব টেনশনকে একলহমায় মুছে দিতে কানে হেডফোন দিয়ে পছন্দের গান শুনতে শুনতে সময় পার করা যায়। অনেকে মনে করেন মিউজিক জোরে না চালালে কেমন যেন অপূর্ণ থেকে যায়।
এই অভ্যাসই বড় ক্ষতি করে দিচ্ছে তরুণ প্রজন্মকে। বিএমজি গ্লোবাল হেলথ জার্নালে বলা হয়েছে, ১০০ কোটিরও বেশি কিশোর-কিশোরী এবং তরুণ-তরুণীরা শ্রবণশক্তি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন। তার কারণ হলো হেডফোন, ইয়ারবাডস ইত্যাদির ব্যবহার এবং মিউজিক কনসার্টে গিয়ে উচ্চৈঃস্বরে গান শোনার অভ্যাস।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত ৪৩ কোটি মানুষ শ্রবণশক্তিজনিত সমস্যায় ভুগছেন।
কানে হেডফোন কিংবা ইয়ারপড দিয়ে শব্দ শোনার ক্ষেত্রে নির্ধারিত মাত্রা প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ৮০ ডেসিবল এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ৭৫ ডেসিবল। সেটাও সাময়িক সময়ের জন্য। কিন্তু অধ্যয়নে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা রীতিমতো আশঙ্কাজনক। স্মার্টফোন, হেডফোন, ইয়ারবাডসের মতো পার্সোনাল লিসেনিং ডিভাইস ব্যবহার করেন তরুণ প্রজন্ম। তারা আবার কনসার্টে গিয়ে উচ্চৈঃস্বরে গান শোনে।
তথ্য বলছে, উচ্চৈঃস্বরে গান শুনতে অভ্যস্ত তরুণ প্রজন্মের ক্ষেত্রে হেডফোনে গড় সাউন্ড লেভেল হলো ১০৫ ডেসিবল, আর বিনোদনের ক্ষেত্রে ১০৪ থেকে ১১২ ডেসিবল। দীর্ঘদিন ধরে এই মাত্রায় উচ্চ শব্দমাত্রা কানে গেলে কানের ক্ষতি অবধারিত। গবেষকদের ভবিষ্যদ্বাণী, উচ্চৈঃস্বরে হেডফোনে গান কিংবা মিউজিক শোনার কারণে আগামী দিনে সারা বিশ্বে ১২-৩৪ বছর বয়সি ৬৭ কোটি থেকে ১৩৫ কিশোর-কিশোরী এবং তরুণ-তরুণীর শ্রবণশক্তি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে। তাই এখনই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
সময়ের আলো/আরএস/