প্রকাশ: রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:৩৩ পিএম (ভিজিট : ১৩৮)
দু-দিন কর্মবিরতি পালনের পর রোববার (১ ডিসেম্বর) পুরোদমে সচল হয়েছে চট্টগ্রামের আদালত অঙ্গন। বিভিন্ন আদালতে আইনজীবীরা শুনানিতে অংশ নেন। বিচারপ্রার্থীদেরও ভিড় ছিল বেশ। এদিন দুপুরে সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে শোক র্যালি করেন জেলা আইনজীবী সমিতি। সমিতির দোয়েল ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে শোক র্যালি নগরীর লালদীঘি, নিউ মার্কেট, রাইফেল ক্লাব, শহীদ মিনার ও সিনেমা প্যালেস হয়ে পুনরায় কোর্ট হিলে এসে শেষ হয়।
র্যালি শেষে আদালত এলাকায় সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ইসকনের মুখপাত্র চিন্ময় দাসকে গ্রেফতার নিয়ে গত ২৬ নভেম্বর এই কোর্ট বিল্ডিংয়ে অনেক ঘটনা হয়েছে। ঘটনার দিন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার পর যে মামলাগুলো হয়েছে প্রতিটি মামলায় চিন্ময় দাসকে আসামি করতে হবে। আমরা মনে করি সমস্ত মামলায় চিন্ময় দাসকে এক নম্বর আসামি করতে হবে। আমরা আইনজীবীরা মানবো না যদি চিন্ময় দাসকে এক নম্বর আসামি করা না হয়।
তিনি পুলিশের প্রতি আবার অভিযোগ করে বলেন, আমি সবসময় বলে এসেছি ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী। আমরা চট্টগ্রামে অনেক রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করে আনতে দেখেছি। পুলিশ তাদের রাজনৈতিক সমর্থক কাউকে কাছে ভিড়তে দেয়নি। কিন্তু চিন্ময় দাসকে যখন প্রিজন ভ্যানে তোলা হল তখন সন্ত্রাসী সমর্থকরা গাড়ি আটকে রেখেছিল। আমরা দেখেছি, চিন্ময় দাস পুলিশের মাইক ব্যবহার করেছে। সেই মাইক ব্যবহার করে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। চিন্ময় দাসের ওই বক্তব্যের পরে, তার নির্দেশনার মধ্য দিয়ে পর্যায়ক্রমে সমস্ত ত্রাস, ভাঙচুর, মসজিদে হামলার পাশাপাশি আলিফকে হত্যা করেছে।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মফিজুল হক ভূঁইয়া বলেন, কারাগারে থাকা বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদনের শুনানি আগামী মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করার পর রণক্ষেত্রে পরিণত হয় আদালত অঙ্গন। ইসকন সমর্থকরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিচার্জ করে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ওই দিন বিকেলে কোতোয়ালি থানার পেছনে রঙ্গম সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকায় নিহত হন সাইফুল ইসলাম।
সময়ের আলো/আরআই