প্রকাশ: রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৬:০৭ পিএম (ভিজিট : ১৫০)
দেশের বাজারে গরুর মাংসের চাহিদা থাকায় বাহিরের দেশগুলো বাংলাদেশে মাংস রপ্তানিতে আগ্রহী। তবে আমদানি নয়, দেশে যারা উৎপাদনের সাথে জড়িত তাদেরকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে সদ্য সমাপ্ত গবেষণাসমূহের ফলাফল ও অগ্রগতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুকের সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, বিএলআরআই বাংলাদেশের একটি সম্পদ। এখানে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বিভিন্ন ধরনের আবিষ্কার করে থাকেন। তবে এই আবিষ্কার শুধুমাত্র বিএলআরআই এর ভিতরে সীমাবদ্ধ না রেখে তা মিডিয়ায় প্রচারের মাধ্যমে সকলের মাছে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান। প্রয়োজনে রাজধানী ঢাকায় বড় কোন মিলনায়তনে সুশীল সমাজ, উদ্যোক্তা, গবেষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে বিএলআরআই এর আবিষ্কার পৌঁছে দিতে সেমিনার আয়োজনেরও পরামর্শ প্রদান করেন।
তিনি বলেন, আমি একটি বিষয় লক্ষ করছি বিএলআরআই শুধুমাত্র জাইকার সাথে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। কিন্তু জাইকা ছাড়াও আরও অনেক অর্গানাইজেশন রয়েছে যাদের সাথে কার্যক্রম চালালে বিএলআরআই এর গবেষণা কার্যক্রম আরও সমৃদ্ধ হবে।
এছাড়াও কর্মশালায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হতে আগত সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, প্রাণী ও পোল্ট্রি উৎপাদন ও খামার ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত বিশেষজ্ঞ এবং সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, বিভিন্ন পর্যায়ের খামারিগণ, বিএলআরআই এর বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ, খামারি এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম হতে আগত প্রতিনিধিবৃন্দ।
কর্মশালায় এবার ৬টি সেশনে সর্বমোট ৩৫টি গবেষণা প্রবন্ধ মৌখিকভাবে উপস্থাপন করা হয়। আগামীকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিশেষজ্ঞ সুপারিশ পর্যালোচনা ও সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী চলমান ‘বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা-২০২৪’ শেষ হবে।
সময়ের আলো/আরআই