প্রকাশ: শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪, ৬:৫৫ পিএম (ভিজিট : ৩১০)
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর করে রফিকুল ইসলাম নামের এক ষাটোর্দ্ধ বৃদ্ধকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সামসুন্নাহার (৩৫) নামের এক নারী ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।
আহত রফিকুল ইসলাম বর্তমানে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। পাশাপাশি অভিযুক্ত ওই নারী সামসুন্নাহার ও তার শিশু সন্তান আরিফুজ্জামানও চিকিসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে আহত বৃদ্ধ রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এর আগে এদিন সকালে উপজেলার বড়খাতা উত্তরপাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনাটি ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামের সামসুন্নাহার (৩৫), মজিবর (৪৫), বছির উদ্দিন (৬০), মজু (৬০), নুর ইসলামসহ (৪০) আরও অনেকে।
জানা গেছে, আহত রফিকুলের ইসলামের বসতভিটার সামনের জমি নিয়ে সামসুন্নাহারের স্বামী আবুল হোসেনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে শুক্রবার সকালে সামসুন্নাহার ও তার দলবল মিলে রফিকুল ইসলামের বসতভিটায় যায়। এ সময় রফিকুল ইসলামের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা বাধে। এর একপর্যায়ে অভিযুক্তরা বৃদ্ধ রফিকুলকে অতর্কিতভাবে মারধর শুরু করে। এ সময় সামসুন্নাহারের দায়ে কোপে রফিকুলের হাতে জখম হয়। পরে রফিকুলের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে আহত রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তদের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। তারা আমার বসতভিটার কিছু অংশ নিজেদের দাবি করে আসছে। শুক্রবার সকালে তারা আমার বসতভিটার উপর আসে। আমার বাড়িতে আমি ছাড়া আর কেউ ছিলো না। আমার ছেলে ও ভাইরা বাইরে ছিলো। আর সেই সুযোগে জমি দখলের চেষ্টা করে। আমি বাধা দিলে তারা আমাকে মারধর শুরু করে। আর সামসুন্নাহার দা দিয়ে কোপাতে আসলে আমি হাত এগিয়ে দিলে হাতে কোপ লাগে। সেখানে ৬টি সেলাই দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সামসুন্নাহার বলেন, আমি কাউকে দা দিয়ে আঘাত করেনি। উল্টো তারাই আমাকে ও আমর সন্তানকে একা পেয়ে মারধর করেছে। তারা যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন্নবী বলেন, বিষয়টি জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সময়ের আলো/জেডআই