প্রকাশ: রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:৫৪ পিএম (ভিজিট : ২২২)
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল ও তার সহযোগীদের শাস্তি দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। রোববার (২৪ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতার সুমন মিয়ার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, তার স্বামী সুমন মিয়াকে পিচ্চি হেলাল ক্ষমতা দিয়ে গ্রেফতার করিয়ে নির্যাতন করাচ্ছে। তার স্বামীর মুক্তিসহ পিচ্চি হেলাল ও তার সহযোগীদের হাত থেকে মোহাম্মদপুরবাসীদের বাঁচানোর দাবি জানান ফেরদৌস। জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, মোহাম্মদপুরের একটি জমিকে কেন্দ্র করে শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের ওপর বিভিন্ন সময় হামলা করে। আমার স্বামীকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছে। বেশ কয়েকবার আমার বাড়িতে ভাঙচুর ও ডাকাতি করেছে। যার প্রমাণস্বরূপ সিসিটিভি ফুটেজ আমার কাছে আছে।
তিনি বলেন, গত সরকারের আমলে বিএনপির কর্মী হওয়ায় বেশ কিছু মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার স্বামীকে হয়রানি করা হয়। এখন পিচ্চি হেলালের সহযোগী জাহিদ মোড়ল লালমাটিয়া থেকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত জমি দখল, ছিনতাই, ফুটপাতে চাঁদাবাজি ও কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করে। মান্নান হোসেন শাহীন মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে চাঁদ উদ্যানসহ বছিলা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করে, কেউ প্রতিবাদ জানালে তাকে বিভিন্ন প্রকার হয়রানি ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয় এবং মোটা অঙ্কের টাকা হাতানো হয়।
পিচ্চি হেলালের বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে চাইলে নাম শুনেই পুলিশ জিডি নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, গত ২০ নভেম্বর আমার স্বামী জমির ব্যাপারে সাক্ষী দিতে আদালতে যায়। সেখান থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলালের সহযোগীরা অবৈধ ক্ষমতাবলে আমার স্বামী মো.সুমন মিয়াকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করায়। এ ব্যাপারে আমরা ডিসি সাহেবের শরণাপন্ন হলে ডিসি সাহেব আমাদের বলেন, আদালত নাকি সুমনকে ২৪ ঘণ্টা করে ছয় দিনই পেটাতে বলেছে। মোহাম্মদপুরে শুধু আমরাই নই, শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলালের অত্যাচারে সবাই অতিষ্ঠ। বিগত সরকারের আমলে মোহাম্মদপুরে আর যা-ই হোক-ছিনতাই, ডাকাতির কোনো নামগন্ধই ছিল না। কিন্তু বর্তমানে মোহাম্মদপুর ছিনতাই ও ডাকাতিতে রেকর্ড করেছে। যার মূল হোতা এই পিচ্চি হেলাল বাহিনী।
জান্নাতুল ফেরদৌস স্বামীর মামলা প্রত্যাহার ও শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হেলাল ও তার সহযোগী মফিজুল ইসলাম মফি, দীপু, বাবু, জাহিদ মোড়ল, মান্নানসহ সব সন্ত্রাসীর শাস্তির জোর দাবি জানান।