ভিসি অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেছেন, বিগত দিনের ভঙ্গুর শিক্ষা ব্যবস্থা, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এতদিন যেভাবে চলছিলো, এখন আর সেভাবে চলতে দেওয়া যাবেনা। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা সংস্কার করতে যাচ্ছি। আপনারা যতই হুমকি-ধামকি দেন না কেন, আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার শেষ করবো। কেন শেষ করবো? জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার করতে পারলে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ৭০-৮০ শতাংশ সংস্কার হয়ে যাবে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ড. মোশাররফ ফাউন্ডেশন কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোশাররফ ফাউন্ডেশন কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ড. মারুফ হোসেনের সভাপতিত্বে কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন, জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
ভিসি আমানুল্লাহ বলেন, এই মুহূর্তে বিদেশ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার আসে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর ৫ থেকে ৬ লাখ শিক্ষার্থী পাস করে বের হয়। সেই শিক্ষার্থীদের যদি ট্রেড কোর্সে পড়াশুনা করাতে পারি তাহলে আমরা সেটা ১০০ বিলিয়নে নিয়ে যেতে পারবো। তাই আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স কোর্সে শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক ট্রেড কোর্স চালু করবো। যাতে শিক্ষাজীবন শেষ করে দেশের ছেলে-মেয়েরা দেশে-বিদেশে ভালো বেতনে চাকরি করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এদেশে শিক্ষাখাতে দুটি জায়গায় সংস্কার দরকার একটি প্রাথমিক শিক্ষা আরেকটি হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার মানোন্নয়নে আমরা এ দুটো জায়গায় সংস্কার করতে চাই।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষরা ৫২ বছর আগে দেশ স্বাধীন করেছিল। আর ২৪-এর আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদ ও শহীদ মীর মুগ্ধরা দেশের পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে তারা জীবন দিয়ে এদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন করেছে। আমরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মাধ্যমে তাদের ত্যাগের কথা স্মরণীয় করে রাখতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদদের স্মৃতিফলক নির্মাণ করার পদক্ষেপ নিয়েছি। সেই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদ শিক্ষার্থীদের পরিবারকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৩ লাখ টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, বিগত সরকারের আমলে সারাদেশে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিভিন্ন জায়গাতে বিভিন্ন ধরনের অন্যায় ও বৈষম্যের শিকার হয়েছে। সে অন্যায় ও বৈষম্যের শিকার আমাদের পক্ষে রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব না। বাংলাদেশে যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নামের কারণে ও এলাকার কারণে প্রচণ্ড বৈষম্যের শিকার হয়েছে। তা যত শীঘ্রই সম্ভব তাড়াতাড়ি সমাধান করবো।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাশেম, দাউদকান্দি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এমএ লতিফ ভূইঁয়া, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ সেলিম সরকার, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন আহমেদ, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শওগাত চৌধুরী পিটার, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ভিপি জাহাঙ্গীর আলম, পৌর সদস্য সচিব কাউছার আলম সরকার, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. শাহআলম প্রমুখ।
সময়ের আলো/আরআই