প্রকাশ: শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৪:৫৩ এএম (ভিজিট : ২৮৮)
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাশেম মেম্বারের দোকান থেকে মানিকগঞ্জ পর্যন্ত মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে উঠতে হয় পাঁচ-পাঁচটি বাঁশের সাঁকোতে।
এতে এ অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটিতে স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করাই কষ্টকর হয়ে যায়। স্থানীয়রা বলছেন, এসব সাঁকো সরিয়ে রাস্তা মেরামত করলে এবং দুটি ছোট ব্রিজ নির্মাণ করলেই মানুষের কষ্ট কমে যেত।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, মেঘনা নদী ঘেঁষে রাস্তা হওয়ায় এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তবু মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে অবশ্যই উদ্যোগ নেওয়া হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী সোহেল আনোয়ার বলেন, এর আগে কেউ তো আমাদের বিষয়টি জানায়নি। সরেজমিন গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে রাস্তা মেরামতের মাধ্যমে চলাচলের উপযোগী করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহফুজুর রহমান রাজন বলেন, কয়েকবার ইউএনও এবং পিআইও সাহেবকে সরেজমিন পরিদর্শন করার ব্যবস্থা করেছি। মেঘনা নদীর কাছাকাছি হওয়ায় রাস্তা মেরামত করলেও আবার ভেঙে যায়। এখন প্রয়োজন খুব উঁচু করে রাস্তাটি মেরামত করা। এ জন্য আমি আমাদের ইউএনওর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
চরমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী মিয়া বলেন, রাস্তাটি ভেঙে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়। দেখলে মনে হয় বড় খালের মত। আগে দেড় কিলোমিটার রাস্তাটি মেরামত করা প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের এ রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ। রাস্তার পাশে রয়েছে জনতা বাজার, মইনুল ইসলাম কওমী মাদরাসা, মানিকগঞ্জ বাজার দারুস সালাম কওমী মাদরাসা এবং কে আলম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চার শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। আবার ওই তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। জনসাধারণের পাশাপাশি কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এসব সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ভাঙাচোরা সাঁকোগুলো দিয়ে শিশু ও বৃদ্ধরা চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এর মধ্যে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী চরকালকিনি ইউনিয়নের ৫ হাজারের অধিক মানুষের চলাচলের মাধ্যম এ রাস্তাটি।
জনতা বাজার মইনুল ইসলাম কওমী মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা ইউসুফ বলেন, আমাদের প্রধান সমস্যা এখন এ রাস্তাটি। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি বারবার ভেঙে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা মাকসুদুর রহমান বলেন, জনবহুল ওই এলাকার মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তা মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ার ও বর্ষাকালে অতি বৃষ্টির পানিতে ভেঙে যায়। বর্তমানে গ্রামবাসী নিজ উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন।
সময়ের আলো/আরএস/