প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ২:৫২ এএম (ভিজিট : ১২২)
মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের কারণে এমনিতেই কক্সবাজার সীমান্তে উখিয়া-টেকনাফের বসবাসকারীরা আতঙ্কে দিন কাটান। সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় প্রায়ই মর্টারশেলের শব্দে সীমান্তবর্তী বাংলাদেশি নাগরিকদের এক ভীতিকর পরিবেশে দিন কাটাতে হয়। এর মধ্যে কিছুদিন বন্ধ ছিল গোলাগুলি। কিন্তু কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর আবার জান্তা সরকারের বিমান হামলায় থেমে থেমে কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত শহরের বাড়িঘর।
গত মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত এ বিমান হামলা ও মর্টারশেল নিক্ষেপের শব্দ শোনা যায়।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা সরকার ও আরাকান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধ চলমান রয়েছে। এ যুদ্ধের কারণে উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত এলাকার খাইংখালী, পালংখালী, রহমতের বিল, আঞ্জুমান পাড়া ও টেকনাফের হোয়াইক্যং, হ্নীলা, পৌরসভা, সাবরাং ও শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় বিমান ও মর্টার হামলার শব্দে কেঁপে ওঠে উখিয়া-টেকনাফের সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের বাড়িঘর।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাট্যংপাড়া এলাকার বাসিন্দা আরফাত সানি সময়ের আলোকে বলেন, মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধে এমন শব্দ কোনো দিন শুনিনি। মনে হয় বাংলাদেশ সীমান্তে এসে সব মর্টারশেল পড়ছে। সীমান্তের একদম পাশে আমার বাড়ি।
এত বিকট শব্দে আমার বাড়ি যেভাবে কেঁপে ওঠে তা ভাষায় ব্যক্ত করতে পারছি না। পালংখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা মামুন বলেন, দীর্ঘদিন মিয়ানমারে যুদ্ধ বন্ধ থাকলেও গত মঙ্গলবার রাত থেকে আবারও গুলি ও মর্টারশেলের শব্দে আতঙ্কে রয়েছি। গত এক বছর ধরে চলছে এ যুদ্ধ।
শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে বসবাসকারী দিল মোহাম্মদ বলেন, বিমানকে নাফ নদের ওপর দিয়ে ঘুরে হামলা চালাতে দেখা গেছে। যুদ্ধের কারণে আমাদের বাড়ি ঘরের দেয়ালে ফাটল ধরেছে।
অন্যদিকে বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, চলমান সংঘাতের কারণে যাতে নতুন করে কেউ সীমান্ত ও নাফ নদ দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে নিয়মিত টহল রয়েছে। সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সবসময় প্রস্তুত।
সময়ের আলো/আরএস/