প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ১:১২ এএম আপডেট: ২১.১১.২০২৪ ২:৪৭ এএম (ভিজিট : ৬৫)
বেশ ব্যস্ত সময় কাটছে জাতীয় দলের নির্বাচক আবদুর রাজ্জাকের। জাতীয় ক্রিকেট লিগের ম্যাচগুলো বেশ ভালোভাবেই দেখছেন তিনি। আজ কক্সবাজার তো কাল রাজশাহীতে। খেলোয়াড়দের কাছ থেকে দেখার জন্য এ ভেন্যু ও ভেন্যুতে ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি। শুধু তিনি নন, নির্বাচকদের ব্যস্ত সময় কাটছে জাতীয় লিগ ঘিরে। পঞ্চম রাউন্ডের খেলা শেষ হয়েছে, অপেক্ষা ষষ্ঠ রাউন্ডের।
আগামী ২৩ নভেম্বর থেকে শুরু হবে এই পর্বের খেলা। তার আগে মিরপুরে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে লিগের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন আবদুর রাজ্জাক। এসময় তিনি বেশ উদ্বেগ জানিয়েছেন লংগার ভার্সনের ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের নিবেদন নিয়ে।
দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট নিয়ে ক্রিকেটারদের যথেষ্ট আগ্রহ আছে কি না এ প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে রাজ্জাককে। উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘সবাই টি-টোয়েন্টি খেলার জন্য উদগ্রীব। সবাই টি-টোয়েন্টিটাকে ক্রিকেট মনে করছে। এটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় কারণ। যদিও আমি মনে করি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ থেকেই তারা বেশি আয় করে। তারপরও কেন যেন টি-টোয়েন্টির প্রতি বাড়তি ঝোঁক।’
লংগার ভার্সনের ক্রিকেটে নিবেদন নিয়ে কথা উঠল যে সংস্করণ নিয়ে সেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও যে বাংলাদেশ খুব একটা ভালো দল তাও না। এদিকে আগামীকাল থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ্যান্টিগায় শুরু হচ্ছে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই সিরিজ নিয়ে কথা চলে আসে আবদুর রাজ্জাকের সংবাদ সম্মেলনে। এসময় তিনি জানান জাতীয় লিগে ভালো করলে জায়গা পাবে টেস্ট দলে।
এবারের লিগে বেশ কয়েকজন প্রমাণ করেছেন নিজেদের। আবদুর রাজ্জাক মনে করিয়ে দেন জাতীয় দলে জায়গা ধরে রাখতে হলে পারফরম্যান্সের বিকল্প নেই, ‘একটা সিরিজ বা এনসিএল দেখে কাউকে বাদ দেওয়া মুশকিল। সেটা যেমন সত্যি, তেমনি জাতীয় লিগে দরজায় কড়া নাড়তে থাকলে সেটা কিন্তু ওখানেও (জাতীয় দল) পৌঁছে যায়। আমি নিশ্চিত যারা জাতীয় দলে খেলে তারা যদি খারাপ খেলে, তারা ওই দরজার আওয়াজ শুনতে পাবে। এটা সহজ প্রক্রিয়া। আমার কিছু করা লাগবে না। এটা সিস্টেমে হয়ে যাবে। যে নক করছে সে যদি গুড এনাফ হয়, সে চলে আসবে। যে ভেতরে আছে পারফর্ম করতে না পারে, সে ভেতর থেকে বাইরে চলে আসবে।’
তবে দেশের ক্রিকেটের বাস্তবতা দেখিয়ে রাজ্জাক বলেন, ‘কিছু ক্ষেত্রে আমি মেনে নিচ্ছি, আবার কিছু ক্ষেত্রে আমি এটা মানব না। জাতীয় লিগে খেলা, কাউন্টি খেলা, অস্ট্রেলিয়া ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলা আর টেস্ট ম্যাচ আকাশ পাতাল পার্থক্য। কখনোই এক হবে না। আমাদের দেশের টেস্টের মানদণ্ডে নেওয়া তো সম্ভব না। কাছাকাছি হয়তো নেওয়া যাবে।’
এ আসরে একটি সেঞ্চুরি ও একটি ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে লাইমলাইটে এসেছেন অমিত হাসান। তাকে নিয়ে নির্বাচকদের ভাবনার কথা তুলে ধরে আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা চাই ক্রিকেটাররা ধারাবাহিক রান করুক। ম্যাচিউর হোক। যেন মোটামুটি ধরে নেওয়া যায় সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত। এ বছর অমিত হাসানের নাম এসেছে। তার টেম্পারামেন্ট খুব ভালো। আমরাও তার ব্যাপারে দেখছি। আমরা চাই বাকি রাউন্ডগুলোতে সে ভালো করবে।’
সময়ের আলো/আরএস/