ই-পেপার বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪
বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪

হীন স্বার্থে ঢালাও মামলা, নিরপরাধীদের হয়রানি বন্ধ হোক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:৫২ এএম  (ভিজিট : ৫২)
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য অপরাধ ঘিরে যেসব মামলা হচ্ছে, তার বেশির ভাগই সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণহীন বলে অভিযোগ উঠেছে। হত্যা কিংবা অন্য কোনো ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে ন্যূনতম নিয়মনীতি অনুসরণ করা হয়নি। ৫ আগস্টের আগে যে হত্যা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের আসামি করা হয়েছিল, ৫ আগস্টের পর সেই মামলায় আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আসামি করা হয়েছে এবং তাদের রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে বলে প্রচারমাধ্যমগুলোতে উঠে এসেছে। 

বুধবার সময়ের আলো থেকে জানা গেছে, পূর্বশত্রুতা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করা এবং চাঁদাবাজি ও হয়রানি করতে অনেককে আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। খোদ মামলার বাদীও জানেন না দায়ের করা মামলায় আসামি কতজন বা কারা হচ্ছে। এ অভিযোগের তীর মূলত বিএনপির দিকে। অনেক ক্ষেত্রেই আসামি কাদের করা হবে, তা অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। এভাবে মিথ্যা মামলা এবং ঢালাওভাবে নিরপরাধীদের আসামি করার ফলে দলেও কোন্দলের সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে থানা পুলিশ এ ধরনের মামলা নিতে না চাইলে রাজনৈতিকভাবে চাপ প্রয়োগেরও অভিযোগ উঠছে।

উল্লেখ্য, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সারা দেশের বিভিন্ন থানা ও আদালতে বহু মামলা হয়েছে। এসব মামলায় শিক্ষাবিদ, ইতিহাসবিদ, শিল্পী-সংস্কৃতিকর্মী, লেখক-সাংবাদিকদের নামও জুড়ে দেওয়া হয়েছে আগের সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকার কারণে।  

কোনো সরকারকে সমর্থন বা বিরোধিতা করা নাগরিকের একান্তই তার নিজস্ব বিষয়। দেখতে হবে তিনি আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে কোনো অপরাধমূলক কাজে জড়িত হয়েছেন কি না। যদি জড়িত হয়ে থাকেন, তথ্যপ্রমাণসহ তার বিরুদ্ধে মামলা হতে হবে। ঢালাও মামলায় জড়ানো কেন? 

আইন বিশেষজ্ঞরা এসব মামলাকে আওয়ামী লীগ আমলের গায়েবি মামলার সঙ্গেও তুলনা করেছেন। আমরা মনে করি, এসব মামলা কীভাবে হলো, কারা এর পেছনে ছিলেন, সেটাও খতিয়ে দেখা হোক। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে বিগত সরকার যে চরম নিষ্ঠুরতার আশ্রয় নিয়েছিল, তার বিচার অবশ্যই হতে হবে। কিন্তু বিচারের নামে নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করার অধিকার কারও নেই।

যাচাই-বাছাই না করে মিথ্যা বা ভুয়া মামলা দিয়ে নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি না করার অনুরোধ এসেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকেও। আমাদের প্রত্যাশা, ঢালাও মামলায় আর কাউকে অযথা আসামি করা হবে না। আগের মামলাগুলো দ্রুত যাচাই-বাছাই করে ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবে যুক্ত নন, এমন আসামিদের বাদ দেওয়া হবে। দুর্নীতিসহ সব অপরাধের বিচার হোক। কিন্তু অপরাধীকে শনাক্ত না করে এরকম ঢালাও মামলা করলে যেমন নিরপরাধ মানুষ হয়রানির শিকার হবেন, তেমনি ন্যায়বিচারের পথও রুদ্ধ হবে।




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close