প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:১৭ এএম (ভিজিট : ৪৮০)
চট্টগ্রামের পটিয়ায় ১৯ গরু লুটের রেশ না কাটতেই নৈশ্যপ্রহরীকে মারধর ও অস্ত্র ঠেকিয়ে আবারো ২১ গরু লুটের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ভোর রাতে উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের নন্দরখীল গ্রামের মরিয়ম এগ্রো ফার্মে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় ডাকাতদল খামারে প্রবেশ করে নৈশ্যপ্রহরী আলাউদ্দিন (৪৫), সালাউদ্দিন (৩৫) ও মো: রহিমকে (২০) বেঁধে মারধর ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ফিল্মি স্টাইলে ২১টি গরু লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনার আগে খামারের সকল বৈদ্যুতিক লাইট বন্ধ করে দেই তারা।
সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের নন্দেরখীল গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদ তৌহিদ গরুর খামার করে আসছিলেন। তার খামারে ৩২টি গরু ছিল। এর মধ্যে মঙ্গলবার ভোরে রাতে ডাকাতদল তার গরু নিয়ে যায়। আজ (মঙ্গলবার) সকালে খামারের নৈশ্যপ্রহরীকে ডাকতে গেলে তাদের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লোকজন উদ্ধার করে।
মরিয়ম এগ্রো ফার্মের মালিক মোহাম্মদ তৌহিদ জানান, সোমবার রাত ১টা পর্যন্ত খামারে ছিলেন তিনি৷ পরে খামার বন্ধ করে নৈশ্যপ্রহরীরা ঘুমাতে যান। তার খামারে ৩২টি গরু ছিল। এর মধ্যে সংঘটিত গরু লুটের ঘটনায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা দামের ২১টি গরু লটু করে নিয়ে যায়। আরো ৩টি গরু জোরপুর্বক নিতে চেয়েছিল। সম্ভবত গাড়িতে উঠানোর সময় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তবে এ ৩টি গরু নিতে পারেনি।
স্থানীয় খামারীরা জানান, আমাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কিভাবে আমরা আমাদের গরুগুলোকে ডাকাতদের লুট হওয়া থেকে রক্ষা করব। তারা প্রশাসনের গাফিলতি করে দায়ী করছেন। পটিয়া থানার ডিউটি অফিসার সুজন জানিয়েছেন পুলিশের একটি টিম গেছে। বিষয়টি আমরা কতিয়ে দেখছি।
এদিকে, পটিয়ায় বেপরোয়া গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ। প্রায় রাতেই উপজেলার কোথাও না কোথাও এই ধরনের চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটে চলেছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই অধিকাংশই রাতের বেলা বিভিন্ন বাসা-বাড়ি এবং দোকানে সংঘটিত হচ্ছে। লুট করা হচ্ছে ব্যবসায়ীদের টাকা-পয়সা ও মানুষের বসতঘরের মূল্যবান মালামাল। গত দুই সপ্তাহে এ উপজেলায় দুই ডজনেরও বেশি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। ফলে শঙ্কায় আছে লাখো মানুষ। এছাড়াও কিশোর গ্যাং এর আধিপত্য চরমভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ১৩ নভেম্বর রাতে উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়ন থেকে ডাকাতদল প্রহরীকে মারধর করে ১৯টি গরু লুট করে নিয়ে যান।
সময়ের আলো/এএ/