প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৯:১৩ পিএম (ভিজিট : ২০০)
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল উপশহরের একটি লেক থেকে উদ্ধার হওয়া ৭ টুকরো মরদেহের পরিচয় মিলেছে। তার নাম জসিম উদ্দিন মাসুম। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার সস্তাপুর এলাকার মৃত হাজী আলেক চাঁন বেপারির ছেলে। তিনি বর্তমানে ঢাকার ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাস করতেন।
স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে উপজেলার পূর্বাচল উপ-শহরের ব্রাক্ষ্মনখালী লেক থেকে ৭ টুকরো মরদেহটি উদ্ধার করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। প্রেম ঘটিত বিষয় নিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত রুমা আক্তার ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর থানার তারাকান্দা এলাকার নজর আলীর মেয়ে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি, হেসকো ব্লেড, সাফারি ও সু উদ্ধার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে পূর্বাচল উপশহরের ৫নং সেক্টরের লেকের পাড়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ পড়ে আছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান বস্তায় বন্ধী অজ্ঞাত পুরুষের বিচ্ছিন্ন মাথা, দুইটি হাত, বিচ্ছিন্ন দুটি পা, বিচ্ছিন্ন বুকের পিছনের অংশ, ধারালো অস্ত্র ধারা বিচ্ছিন্ন পেটের ভূরি, ফেপসা, কলিজা ও দেহের অন্যান্য অংশ একটি সাদা পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় পড়ে আছে। পরে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। পরে এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় ও আশপাশের অন্যান্য জেলা মেট্রোপলিটন ডিসিস্ট শনাক্তের জন্য ফ্যাক্স বার্তা বেতার প্রেরণ করা হয়। ডিসিস্ট এর আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে উদ্ধার হওয়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করে জানা যায়, তার নাম জসিম উদ্দিন মাসুম। তিনি একজন ব্যবসায়ী।
ঘটনার ব্যাপারে জসিম উদ্দিন মাসুমের গাড়ি চালক মালেক মিয়ার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় পুলিশের একটি টিম সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামি শনাক্ত করেন। পরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামি রুমা আক্তারকে কাফরুল শেওড়াপাড়া আসামির ভাড়াটিয়া বাসা থেকে গ্রেফতার করে।
আসামি রুমা আক্তারকে নিয়ে তার তথ্য দেয়া মতে অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি চাপাতি, একটি হেসকো ব্লেড, ব্যবসায়ী জমিম উদ্দিন মাসুমের পড়নের সাফারি, এক জোড়া সু উদ্ধার পূর্বক জবানবন্দি নেয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, প্রেম ঘটিত বিষয় নিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়ি অনন্যা আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সময়ের আলো/আরআই