ই-পেপার শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫
শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫
ই-পেপার

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫

চিরকুট লিখে মিটার চুরির হিড়িক
প্রকাশ: বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭:৩৫ এএম  (ভিজিট : ৫২২)

গাইবান্ধার শিল্পাঞ্চল-খ্যাত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জে বৈদ্যুতিক মিটার চুরির হিড়িক পড়েছে। চুরির পর চোরের লেখা চিরকুটের বিকাশ নম্বরে গোপনে টাকা পাঠিয়ে মিটার ফেরত নিতেও বাধ্য হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। কিন্তু সম্প্রতি একটি ব্যাংকের উপশাখায় মিটার চুরির পর বিকাশে টাকা পাঠানোর পরও মিটার ফেরত না পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানা ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এবং ভুক্তভোগী এনআরবিসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। 

এনআরবিসি ব্যাংকের এজাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম। এ বিষয়ে তিনি জানান, বৈদ্যুতিক মিটার চুরির সঙ্গে জড়িত চক্রটিকে ধরতে তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ। 

এ বিষয়ে জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহিমাগঞ্জ সাব-জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. মাহমুদুল ইসলাম বলেন, গত এক সপ্তাহে মহিমাগঞ্জের একটি তেলের মিল, দুটি স’মিল, একটি কেবল টিভি ও ইন্টারনেট সরবরাহ প্রতিষ্ঠান এবং এনআরবিসি নামের একটি বেসরকারি ব্যাংকের উপশাখার বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করেছে ওই চিরকুট চক্র। এর মধ্যে অনেকেই বিকাশে টাকা পাঠিয়ে ফেরত পেয়েছেন তাদের মিটার। 

অধিকাংশ গ্রাহকই অভিযোগ না করে গোপনে টাকা দিয়ে মিটার ফেরত নেওয়ায় চক্রটির দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। এদের হাত থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতার পাশাপাশি মিটার সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন সতর্কতামূলক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে মহিমাগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কল-কারখানা ও ব্যাংকের একটি উপশাখাসহ বিভিন্ন গ্রাহকের প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় প্রতি রাতেই একের পর এক থ্রি-ফেজ বৈদ্যুতিক মিটার চুরি যাচ্ছিল। চুরির পর চোরেরা বীরদর্পেই খুলে নেওয়া মিটারের বোর্ডে লিখে রেখে যাচ্ছে টাকা দেয়ার বিকাশ নম্বর। নিজ স্বার্থে অনেকটা গোপনেই সেই বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠিয়ে অনেকের মিটার ফেরত পাওয়ায় বিষয়টি তেমন একটা সামনে না আসায় প্রতিনিয়তই চলতে থাকে এভাবে চুরির ঘটনা। কিন্তু সম্প্রতি একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের উপশাখার মিটার চুরির পর বিকাশে টাকা পাঠিয়েও মিটার ফেরত না পাওয়ায় থানায় এজাহার করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি অবগত হওয়ার পর পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষও অভিযোগ করে থানায়। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি রাতের আঁধারে ব্যাংকটির শাখা ভবনের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়। পরে সেখানে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। চিরকুটে থাকা বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠালে মিটার ফেরত দেওয়া হবে বলে লিখে রাখে চোরেরা। পরে তাদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের। কথাবার্তার পরিপ্রেক্ষিতে ছয় হাজার টাকা দেওয়া হয় তাদের। কিন্তু এই টাকা কম হয়েছে জানিয়ে চোরেরা আবার দুই হাজার টাকা বিকাশ করিয়ে নেয়। এভাবে দুই দফায় বিকাশে আট হাজার টাকা নেওয়ার পরও তারা মিটার ফেরত না দিয়ে আরও চার হাজার টাকা দাবি করে। শুধু তাই নয়, টাকা না দিয়ে নতুন মিটার লাগালে আবারও তা চুরি করবে বলে হুমকি দেয়। 

এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকের উপশাখা ব্যবস্থাপক গত ১০ নভেম্বর গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহিমাগঞ্জ সাব-জোনাল অফিসে ও গোবিন্দগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ওই দিন একই অভিযোগে গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহিমাগঞ্জ সাব-জোনাল অফিসের পক্ষ থেকেও গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়।

সময়ের আলো/আরএস/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close