প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪, ৯:৫৫ পিএম (ভিজিট : ২৭৮)
ওরা ৫ জন নারী। লক্ষ্য ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে বের হওয়া নারী গ্রাহককে পাকড়াও করে টাকা ছিনতাই। সুযোগ পেলে স্বর্ণের চেইন, আংটিও খুলে নেয় তারা। তাদের সকলের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার লাখাই এলাকায়। অবশেষে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া পৌরসভার মালিপাড়া সড়ক মোড় থেকে স্থানীয় জনতা ওই ৫ নারীকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
আটক ওই নারী চোর-ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা হলেন- হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বামন গ্রামের রমজান আলীর স্ত্রী মালা খাতুন (৪৭), একই গ্রামের আলী আকবরের মেয়ে ও মৃত আলমগীর হোসেনের স্ত্রী কুলসুমা বেগম (৪০), শাহ আলমের স্ত্রী মিনা খাতুন (২৮), আওয়াল হোসেনের স্ত্রী পারভিন বেগম (৩০) ও সোনাতুষি গ্রামের শরিফুল ইসলামের মেয়ে নাদিরা আক্তার (২৪)।
বনপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী আবেদ আলী জানান, মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার বনপাড়া পৌর শহরের মালিপাড়া মহল্লার মৃত হাফেজ মহিজুল্লাহ্’র স্ত্রী রহিমা বেগমকে (৪৯) টার্গেট করে ওই নারী চক্র। রহিমার পিছু পিছু হেঁটে এসে মালিপাড়া সড়ক মোড় সংলগ্ন মহাসড়কের ওপর ঘিরে ধরে নিজেদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে নানা কথা বলতে থাকে। রহিমা হতচকিত হয়ে আত্মীয়তার সূত্র খুঁজতে থাকে। এরই মধ্যে ওই চক্রের মধ্যে কেউ রহিমার গলা থেকে কৌশলে স্বর্ণের চেইন খুলে নেয়। কিন্তু রহিমা টের পেয়ে গেলে তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয় জনতা এগিয়ে এসে ওই ৫ নারীকে আটক করে।
বনপাড়া পৌরশহরের কালিকাপুর মহল্লার বাসিন্দা রানী কোড়াইয়া জানান, প্রায় ৬ মাস আগে ব্যাংক থেকে এক লক্ষ টাকা উঠানোর পর মালিপাড়া সড়কে আমাকেও ঘিরে ধরে নারী ছিনতাইকারী চক্র। তাদের উদ্দেশ্য বুঝতে পারি নাই। তারা ঘিরে ধরে আমাকে আত্মীয়ের পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করে এবং এরই একফাঁকে তারা আমার ব্যাগের চেইন খুলে ওই টাকা নিয়ে যায়। পরে ওরা চলে যাওয়ার পর টের পাই যে আমার সব টাকা তারা নিয়ে গেছে।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রহমান জানান, আটক নারী চক্রের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের সাথে আরও কারা জড়িত তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
সময়ের আলো/আরআই