প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭:২৫ পিএম (ভিজিট : ৩৯০)
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মেম্বার-চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্বে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অব্যবস্থাপনায় গরীবের এক মেট্রিক টন চাউল নষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদে মিলনায়তনে সরজমিন গিয়ে এমনি চিত্র দেখা যায়।
ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়ন এলাকায় চলতি বছরের জুলাই মাসে বন্যার্তদের জন্য জিআর বরাদ্দকৃত ১ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয় ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান মেম্বাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকায় চালগুলো বিতরণ না করে পরিষদের কক্ষে বস্তাবন্দি করে মেঝেতেই রেখে দেয় ইউনিয়ন পরিষদ। চাল বিতরণের বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কোন তদারকি না থাকায় ১০ কেজি করে শতাধিক চালের প্যাকেট দীর্ঘদিন বস্তাবন্দি করে রাখায় বরাদ্দকৃত চালগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। চাল বরাদ্দের পর বিতরণ করার বিষয়ে আর কোন প্রকার খোঁজ খবর তদারকি না নেওয়ার কারণে চাল নষ্ট হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। এ নিয়ে সুবিধাভোগীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছে সংশ্লিষ্টরা। এই ক্ষয়ক্ষতির ভার তাদের কাউকে নিতে হবে। এ বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান সচেতন মহল।
ডোয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক স্বপন এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাল বরাদ্দের পর পরই জুলাই-আগস্টে আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের পর থেকে পরিষদে আমরা যেতে পারছি না। এই কারণে বরাদ্দের চালগুলো বিতরণ করতে পারি নাই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শওকত জামিল বলেন, ডোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদে শতাধিক বন্যার্ত পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি দরে মোট এক মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। আমাকে মৌখিকভাবে চাল বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত আমাকে চাল বিতরণের মাস্টারোল দেয় নাই। এখনো বিতরণ করা হয়নি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, জুলাই মাসে পরিষদে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। চালগুলো বিতরণ না করে থাকলে এর দায় ইউনিয়ন পরিষদকে নিতে হবে। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সময়ের আলো/আরআই