লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ মিনু হত্যা: ৪ মাস হলেও নিষ্ক্রিয় প্রশাসন, স্থানীয়দের বিক্ষোভ
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬:১০ পিএম (ভিজিট : ১৫৮)
লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ মিনু হত্যাকাণ্ডের ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কাউকে চিহ্নিত ও গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মামলার তদন্তের অগ্রগতি না হওয়া ও ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এখন ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় ছাত্র-জনতা।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদি ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে নন্দনপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে শতাধিক ছাত্র-জনতা অংশ নিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
মানববন্ধনে বক্তব্যে রাখেন- কাজীর দীঘির পাড় সমাজকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন, ইউনিয়ন যুবদল নেতা মাহমুদুর রহমান স্বপন, ব্যবসায়ী ফিরোজ আলম, কিরণ, নন্দনপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব আবদুল কুদ্দুস, নিহত মিনু আক্তারের স্বামী মমিন, মেয়ে শিলা আক্তার ও ছেলে শিমুল হোসেনসহ অনেকে।
এসময় বক্তারা বলেন, মিনু হত্যাকাণ্ডের ৪ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কাউকে চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পরেরদিনই মিনুর ছেলে শিমুল বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কারণে নিহত মিনুর স্বামী, ছেলে-মেয়ে এক অজানা আতঙ্কে জীবনযাপন করছে। দ্রুত এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান বক্তারা। এসময় পুলিশ প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দেন বক্তারা।
এদিকে মিনু হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) হাসান মোস্তফা স্বপন মুঠোফোনে বলেন, পুলিশ জোরালো ভাবে তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ আন্তরিক।
উল্লেখ্য, গত ১১ জুলাই রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের পশ্চিম গঙ্গাপুর গ্রামের একটি সুপারি বাগান থেকে মিনুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে গলাকেটে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সময়ের আলো/আরআই