রেমিট্যান্স যোদ্ধারা দেশের নির্বাচনে অংশগ্রহণে তাদের ভোটাধিকার, এনআইড কার্ড দেয়াসহ প্রবাসের নানা সমস্য সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রবাসীদের সম্মিলিত ফোরাম।
রোববার (১১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বিশ্বের বাংলাদেশি প্রবাসীদের সম্মিলিত ফোরাম ‘ইউনাইটেড এক্সপার্ট অ্যারাউন্ড দ্যা ওয়াল্ডর্’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান ও কো-অর্ডিনেটর ব্যারিষ্টার মির্জা জিল্লুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী মীর নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিষ্টার মির্জা জিল্লুর বলেন, আমরা যারা বিদেশে থাকি সেই প্রবাসীদের কোন রকম প্রতিনিধিত্ব আজ পর্যন্ত ত্বত্তাবধায়ক সরকারের কোন পর্যায়ের পরিলক্ষিত হয়নি। আমরা এই ব্যাপারে খুবই মর্মাহত। আমাদের কর্ষ্টার্জিত অর্থ পাঠিয়ে আমাদের মাতৃভুমির নাজুক অর্থনীতিকে সচল করতে আপ্রান চেষ্টা করেছি। এর বিনিময়ে আমরা পেয়েছি অবহেলা ও অবমাননা।
তিনি বলেন, আমাদের ভোটাধীকার নিয়ে বিগত কোনও সরকারই সঠিক সিন্ধান্ত নিতে পারেনি। আমরা আমাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চাই, আমরা এই দেশের নাগরীক।
ব্যারিষ্টার মির্জা জিল্লুর রহমান আরো বলেন, বিদেশে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানীকে আরো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে আরব আমিরাত, ইউরোপ আমেরিকা, যুক্তরাজ্যে আগামী ৫ বছরে আরো ২০ লাখ লোক পাঠানোর জন্য একটি দৃঢ় পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা নিতে হবে। যে বিষয়ে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত আমাদের কোটাসহ দক্ষ শ্রমিক বিদেশে পাঠাচ্ছে, এই ব্যাপারে প্রবাসী মন্ত্রনালয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। তিনি বলেন, আজকের এইসময়ে এই মুহুর্তে দেশের অর্থনীতিকে বাচানোর জন্য ফরেন কারেন্সি বা বৈদেশীক মুর্দ্রা আহরণ বা রেমিটেন্স ২৫% থেকে ৫০% বাড়াতে হবে। আমরা কথাদিচ্ছি এটা অবশ্যই সম্ভব। সরকারের সহযোগীতা পেলে বিদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলোতে দ্রুত এই ব্যাপারে রেমিটেন্স বৃদ্ধির জন্য পজেটিভ কেম্পেইন শুরু করা যেতে পারে।
চেয়ারম্যান ও কো-অর্ডিনেটর বলেন, আমরা আজকে দ্ব্যর্থ ভাষায় ঘোষনা করতে চাই, দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ন সংস্কার কমিশন, পার্লামেন্ট, বিদেশ মিশন, সামরিক বেসামরিক প্রতিটি সেক্টরে বৈষম্যহীন ভাবে নাগরিক আনুপাতিকহারে প্রতিনিধিত্ব আমরা চাই। মাননীয় ত্বত্তাবধায়ক সরকারের সংস্কারের ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা যেন শতভাগ বাস্তবায়ন হয়। আমরা প্রবাসীরা এই সরকারের কাছে অনেক বেশি প্রত্যাশা করছি।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে বসবাসরত সকল বাংলাদেশীদের হাই কমিশনের মাধ্যমে দ্রুত জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি কার্ড) প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। যতদিন পর্যন্ত এনআইডি কার্ড প্রদান না করা হবে, ততদিন পর্যন্ত বাংলাদেশী পাসপোর্ট বা বিদেশী পাসপোর্টকে বাংলাদেশে আইডি হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশ বিমানের ল-ন-সিলেট রুটে বিমানের ভাড়া কমাতে হবে এবং ঢাকা ও সিলেটের মধ্যে ভাড়ার বৈষম্য দূর করতে হবে । প্রবাসী বাংলাদেশীদের জায়গা সম্পত্তি বেদখল হয়ে যায়, এটার সমাধান ও সব মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী বন্ধে উদ্যোগ নিতে হবে।