প্রকাশ: শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬:৩৪ এএম (ভিজিট : ৩২০)
বার বার উদ্যোগ নেওয়ার পরও প্রাণ ফিরে পাচ্ছে না বরিশাল শহরের মাঝে বয়ে যাওয়া ২৩টি ছোট-বড় খাল। খননের অভাব ও দখলদারদের দৌরাত্ম্যে নাব্য সংকটের পাশাপাশি প্রশস্ততা কমে মরে যাচ্ছে খালগুলো। এ কারণে ভারী বৃষ্টি হলেই নগরীজুড়ে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। আর এতে করে ভোগান্তি পোহাচ্ছে নগরবাসী।
তবে সিটি কপোরেশন বলছে, মন্ত্রণালয়ে ৩০টি খাল খনন ও সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প পেলেই খালগুলোকে আগের রূপে ফিরিয়ে আনা হবে। একসময় বরিশালের এই খালগুলো দিয়ে নৌকা, পাংশি নৌকা ও ছোট ছোট লঞ্চ চলাচল করত। ৯০ দশকের আগে বরিশালে ৪৬টি খালের অস্তিত্ব থাকলেও বর্তমানে ২৩টি খাল রয়েছে তাও প্রায় মৃত। খালের পাশের বসতবাড়ি ও দোকানপাট, বাজার থেকে প্রতিনিয়ত ময়লা আবর্জনা খালের মধ্যে ফেলার কারণে খালগুলো ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন সময় খাল খনন ও পরিষ্কারের উদ্যোগ নেয়া হলেও তা কার্যকর হচ্ছে না বলে দাবি নগরবাসীর। সম্প্রতি জেলা প্রশাসন থেকে খালগুলো পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করলেও কয়েক দিন পর তা আবার পুরোনো রূপে ফিরে আসছে। তাই খালের বিষয়ে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
বরিশাল নগরীর জেলখাল এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান বলেন, বারবার পরিষ্কার করতে আসে। দুয়েক দিন পর আবার যেই-সেই। টেন্ডার হয় শুনি কিন্তু বাস্তবে কিছু দেখি না। খালের কারণে মশার উপদ্রব আরও বাড়ছে। আমরা নানা সমসায় ভুগছি। আলমগীর সিদার নামের আরও একজন বলেন, খালগুলোর গভীরতা কমপক্ষে ১০ ফুট না করলে কাজ হবে না। আমরা যারা খালের পাড়ে বসবাস করি তাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। ময়লা ও দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ। খাল দখল হয়ে যাচ্ছে, যে যার মতো খালে ময়লা ফেলছে। আমরা চাই খালটি সংস্কার হোক, আমাদের এই সরকারের কাছে দাবি যেন পুনঃসংস্কার করার ব্যবস্থা করা হয়।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সনাক) বরিশাল জেলা শাখার সম্পাদক রঞ্জিত দত্ত বলেন, খালের বিষয়টি বরিশাল বাসীর দীর্ঘদিনের একটি আন্দোলন এবং খালগুলো যদি সংস্কার না হয় বরিশালের যে জলাবদ্ধতা ও জনগণের যে ভোগান্তি এগুলো কমবে না। খালের জন্য দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে বাজেটও আসছে সে বাজেট আসলেও কাজে বা বাস্তবে রূপ দান করেনি। আমরা মনে করি খালকে খনন করা দরকার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নগরীর পোর্ট রোড থেকে নথুল্লাবাদ পর্যন্ত বয়ে চলা জেলখালটি অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার ও পরিচ্ছন্নতা করার কাজ শুরু করা হয়।
সময়ের আলো/আরএস/