প্রকাশ: রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:৫০ পিএম (ভিজিট : ২১০)
ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে গত ১৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এসময় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে বরিশালের বিভিন্ন নদীতে অভিযানে ১৪ দিনে ৩৪৯ জেলেকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি ১৮ লাখ ৯২ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) সকালে বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিভাগীয় মৎস্য অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১৩ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর রাত পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে ১ হাজার ৮৫৮টি অভিযান চালানো হয়েছে এবং ৫২১টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার পাশাপাশি ৫৮৮ মামলা করা হয়েছে। যেখানে বরিশাল বিভাগে ৩৬২ বার বিভিন্ন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ২ হাজার ৬১৪ বার বিভিন্ন মাছঘাট, ৪ হাজার ৮৭৬ বার বিভিন্ন আড়ত ও ২ হাজার ৯২৬ বার বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করেছে মৎস্য অধিদপ্তরে জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। আর গেল ১৪ দিনের অভিযানে ১৩ হাজার ৬৮ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৪ লাখ ২৫ লাখ ৪৯ হাজার ১০০ টাকা মূল্যের ৭৭ লাখ ১৬ হাজার ১০০ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া নৌকাসহ জব্দ হওয়া সরঞ্জাম নিলাম করে ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা আয় হয়েছে।
মৎস্য বিভাগের উপ-পরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস জানান, গত ১৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য উপকূলের সাত হাজার বর্গ কিলোমিটারের মূল প্রজননস্থলসহ সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহণ ও বিপণন নিষিদ্ধ থাকছে। ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। যারা নির্দেশনা অমান্য করে মাছ শিকার করে তাদের জাল জব্দ করে ধ্বংস করছি। পাশাপাশি সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ধরে এনে জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। তবে সব থেকে বড় বিষয় হচ্ছে আত্ম সচেতনতা। আমাদের সবাইকে মা ইলিশ রক্ষায় সচেতন হতে হবে।
উল্লেখ্য, বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮৩০ জন জেলেকে ৭ হাজার ৯৯৬ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হবে। এসব চাল বিতরণে পরিবহণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯ লাখ ৯৮ হাজার ৯৩৭ টাকা।
সময়ের আলো/আরআই