প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪, ৭:৩৮ পিএম আপডেট: ২৪.১০.২০২৪ ৭:৩৯ পিএম (ভিজিট : ২৪৩)
হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলায় বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম এই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় মামুনুল হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের ভারপ্রাপ্ত সরকারি কৌঁসুলি মো. রোমেল মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছিল। আদালতকে তারা বলেছিলেন যে পুরো বিষয়টি রাজনৈতিক যোগসাজশে সংঘটিত হয়েছে। এই মামলার বাদী শারীরিক পরীক্ষা করাতে রাজি হননি। কারণ, তিনি স্বীকার করেছেন, মামুনুল হক তার বৈধ স্বামী। একই সঙ্গে বাদীর ছেলে সাক্ষ্য দিতে এসে বলেছিলেন, তার মা মামুনুল হকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তাদের তুলে এনে আটকে রেখে বলপ্রয়োগ করে মামলা করানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রাখে। এরপর ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামুনুলকে। পরে এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।
এদিকে চলতি বছরের ৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে জামিন আবেদন করলে তৎকালীন বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর থেকে তিনি সোনারগাঁ থানার এই ধর্ষণ মামলায় জামিনে রয়েছেন।
সময়ের আলো/আরআই