১১ ঘণ্টা পর খুলনার সাথে সারা দেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
প্রকাশ: বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ২:২৯ পিএম (ভিজিট : ১১৮)
১১ ঘণ্টা পর খুলনার সাথে সারা দেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার আনসারবাড়িয়া রেল স্টেশনের কাছে মালবাহী ট্রেনের আটটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়েন। মালবাহী ট্রেন দুর্ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তেলবাহী ওয়াগনে কোন তেল ছিল না। খুলনার উদ্দেশ্যেই তেলবাহী ট্রেনটি রাতে তেল নেওয়ার জন্য রওনা করেছিল।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের আনসারবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে এই দুর্ঘটনা ঘটে তেলবাহী ট্রেনের।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাতে সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন থেকে তেলবাহী একটি ট্রেন খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। চুয়াডাঙ্গার দর্শনা রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে আসার পর তেলবাহী ট্রেনটি আনসাবাড়িয়া রেল স্টেশনের কাছে রাত ১টার দিকে পৌঁছালে আটটি বগি লাইনচ্যুত হয়। তেলবাহী ট্যাংকারের চাকা ভেঙে দুমড়ে মুছড়ে যায়।
তেলবাহী ট্রেনের দুর্ঘটনার বিষয়টি স্টেশন কর্তৃপক্ষ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান রাতে। বুধবার সকালে ঈশ্বরদী ও খুলনা থেকে দুটি উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন সকাল সাতটায় ঘটনাস্থলে আসে। এরপর তেলবাহী ট্রেনের ওয়াগনগুলো উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয় রিলিফ ট্রেন দিয়ে। তেলবাহী ট্রেনের ওয়াগনগুলো একে একে রেল লাইনের উপর থেকে সরিয়ে নেওয়া। বেলা ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে রেল লাইনের উপর থেকে আটটি ওয়াগন সরিয়ে ফেলা হয়।
পরে দুপুর ১২টা ৫ মিনিটের দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ডাউন চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দর্শনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে আসে খুলনার উদ্দেশ্যে। এরপর একে একে সকল যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ট্রেন দুর্ঘটনার চার সদস্য তদন্ত কমিটির প্রধান বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশীর বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিভাগীয় প্রকৌশল ১ আব্দুল হামিদ, বিভাগীয় সংকেত কর্মকর্তা রাজিব বিল্লাহ ও বিভাগীয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার লকো আশীষ কুমার মণ্ডল।
সময়ের আলো/এএ/