নারীর সৌন্দর্যের একটি রহস্য হচ্ছে চুল। আপনি নিজেকে কীভাবে সাজাবেন তা অনেকটাই নির্ভর করে চুলের ওপর। তবে অনেকেই চুল পড়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন। চুল পড়ার সমস্যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। বংশগত, শারীরিক সমস্যা কিংবা আমাদের কিছু ভুলের কারণে পড়তে পারে চুল।
কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট
পার্লারে যারা চুলের পরিচর্যা করান তাদের প্রায়ই কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করাতে দেখা যায়। ফলে চুলের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিয়মিত চুলে তেল দেওয়ার মাধ্যমে এবং পার্লারে যাতায়াত কমিয়ে দিয়ে সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
অতিরিক্ত ডায়েট
ওজন কমানোর জন্য অতিরিক্ত ডায়েট করা অনেক সময় চুল পড়ার কারণ। অবশ্যই ডায়েটিশিয়ান, নিউট্রিশনিস্ট কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার তালিকা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। আবার অতিরিক্ত ভিটামিন ‘এ’ গ্রহণে চুল পড়ে। সুতরাং ওজন কমাতে চাইলে নিজের মনমতো না করে ডায়েটিশিয়ান, নিউট্রিশনিস্ট, চিকিৎসক ও ত্বক বিশেষজ্ঞের মতামত নেবেন।
ভেজা অবস্থায় চুল আঁচড়ালে
আমরা অনেকেই ভেজা চুল আঁচড়াই। চুল যখন ভেজা থাকে তখন চুলের গোড়া নরম থাকে। ওই অবস্থায় আঁচড়ালেও চুল পড়বে।
চুলের ফ্যাশন
নারীদের চুলের নানা স্টাইল বা ফ্যাশন চুল পড়ার কারণ হতে পারে। সব সময় উঁচু করে, শক্ত করে চুল বেঁধে রাখলে চুল ভেঙে যায়। ফলে চুল পড়া শুরু হতে পারে। এ ছাড়া চুলে বারবার রং করা ও রিবন্ডিং করা চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
হরমোনের পরিবর্তন
হরমোনের পরিবর্তনের সঙ্গে নারীদের চুল পড়ার সম্পর্ক আছে। গর্ভাবস্থায় কিংবা জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া বন্ধ করলে চুল পড়তে পারে। হরমোনের পরিবর্তনের তিন মাসের মধ্যে এই পরিবর্তন লক্ষ করা সম্ভব। আবার সঠিক যত্নে তিন মাসের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। মাসিক বন্ধ হওয়ার পরও নারীদের চুল পড়ে।
শারীরিক অসুস্থতা
জন্ডিস, টাইফয়েড, জ্বর বা অন্যান্য তীব্র জ্বরের পরও অনেকের চুল পড়ে। করোনা থেকে সেরে ওঠার পরও দেখা গেছে অনেকের চুল পড়ে যাচ্ছে।
প্রতিকার
নিয়মিত সময় নিয়ে চুল আঁচড়ানো।
সপ্তাহে দুই-তিনবার শ্যাম্পু করা। শ্যাম্পু ব্যবহারের আগে চুলে তেল মেখে রাখা ভালো।
ভেজা চুল না আঁচড়ানো।
ব্লিচিং বা ডাই বেশি না করা।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ডায়েট করার আগে একজন ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নেওয়া।
চিন্তামুক্ত থাকা।
পেঁয়াজের রস মেখে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে পারি। এতে মাথার ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণ কমবে।
মেহেদি পাতা বেটে মাথায় লাগানো যেতে পারে। এতেও চুলের গোড়া মজবুত হয়।
অ্যালোভেরাও চুলের জন্য বেশ কার্যকর। অ্যালোভেরার জেল মেখে ১৫-২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলতে হবে।
মসুর ডাল বেটে মাথায় লাগালেও মাথার ত্বক ভালো থাকে।
সময়ের আলো/আরএস/