প্রকাশ: শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ১:৩৯ পিএম (ভিজিট : ১৯৪)
রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই। তারপর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে হার। বড্ড এলোমেলো এক পাকিস্তান। অবশেষে ঘরের মাঠের সেই জুজু কাটলো তাদের। মুলতানে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ইংলিশদের ১৫২ রানে হারিয়ে প্রায় তিন বছর টেস্ট ম্যাচে ‘অধরা’ সেই জয়ের দেখা পেল শান মাসুদের দল। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে শান মাসুদের প্রথম জয় এটি, এর আগে টানা ছয় টেস্টে তার নেতৃত্বে হেরেছে পাকিস্তান।
ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে পাকিস্তান হেরেছিল ইনিংস এবং ৪৭ রানে। মনে করা হচ্ছিল এই সিরিজে পাকিস্তানের পক্ষে ফেরত আসা কঠিন হবে। প্রশ্ন উঠেছিল মুলতানে প্রথম টেস্ট যে পিচে হয়েছে, সেই পিচেই দ্বিতীয় টেস্ট হওয়া নিয়ে। পাকিস্তান দ্বিতীয় টেস্টে বিশ্রাম দেয় নাসিম শাহ, বাবর এবং শাহিনকে। প্রথম দলের তিন জনকে বাদ দিয়ে খেলতে নামলেও পাকিস্তানের জিততে অসুবিধা হয়নি। পাকিস্তানের এই স্বস্তির জয়ের কারিগর স্পিনাররা। প্রথম ইনিংসে সাজিদ খান নিয়েছিলেন ৭ উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসে একাই ৮ উইকেট শিকার করলেন আরেক স্পিনার নোমান আলি।
বাবরের বদলে দলে আসেন কামরান গুলাম। অভিষেক টেস্টেই শতরান করেন তিনি। পাকিস্তান করে ৩৬৬ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড শেষ হয়ে যায় ২৯১ রানে। ইংলিশ ওপেনার বেন ডাকেট ১১৪ রান করেন। বাকি ব্যাটারেরা তেমন রান পাননি। পাকিস্তানের হয়ে অফ স্পিনার সাজিদ খান তুলে নেন ৭ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ২২১ রান করে পাকিস্তান। সলমন আঘা করেন ৬৩ রান। ইংল্যান্ডের সামনে ২৯৭ রানের লক্ষ্য রেখেছিল শান মাসুদের দল। মুলতানের পিচে চতুর্থ ইনিংসে ২৯৭ রান করার কাজটা সহজ ছিল না। হলোও তাই। ইংলিশরা হার মানল স্পিনের বিরুদ্ধে। চতুর্থ ইনিংসে একের পর এক ব্যাটার এলেন এবং স্পিন খেলতে না পেরে উইকেট দিয়ে গেলেন। উইকেট নেওয়ার শুরুটা করেছিলেন সাজিদ। ম্যাচে ৯ উইকেট নেন তিনি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার নোমান আলি। জো রুট, বেন স্টোকসেরা তার শিকার। নোমান দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেট নেন।
৩৮ বছরের নোমান পাকিস্তানের হয়ে ১৬টি টেস্ট খেলেছেন। নিয়েছেন ৫৮টি উইকেট। এই প্রথম কোনও ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেন তিনি। মুলতানে প্রথম ইনিংসে তিনটি উইকেট নিয়েছিলেন নোমান। দ্বিতীয় ইনিংসে নিলেন আটটি। নোমান এবং সাজিদ মিলেই ইংল্যান্ডের ২০টি উইকেট তুলে নিলেন।
প্রসঙ্গত, ঘরের মাঠে শেষবার পাকিস্তান টেস্ট জিতেছিল ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। রাওয়ালপিন্ডিতে সেবার তাদের প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর নিজেদের আঙিনায় জয়হীন ছিল তারা। চারটি ড্র করলেও হেরেছিল বাকিগুলো।
সময়ের আলো/আরআই