ই-পেপার বুধবার ১৬ অক্টোবর ২০২৪
বুধবার ১৬ অক্টোবর ২০২৪

ছেলের সাথে আমারও মৃত্যু হয়েছে, এখন খুশি উদযাপন করবে কে?
প্রকাশ: বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৭:৩২ পিএম  (ভিজিট : ৯২)
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত লক্ষ্মীপুরের আফনান পাটওয়ারী (১৮) নিহত হয়েছেন। আফনান এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.১৭ পেয়ে সফলতার সহিত কৃতকার্য হয়েছেন। তার এই অর্জন পরিবারের জন্য খুশির খবর হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু খুশির এ সময়ে হাসিখুশি থাকতে পারছেন না তার মা নাছিমা আক্তার, বোন জান্নাতুল মাওয়া ও স্বজনরা। এ আনন্দের সময় আফনানের শূন্যতায় সীমাহীন কষ্ট কুড়ে খাচ্ছে তার তার মা ও বোনকে। 

বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে আফনানের মা নাছিমা আক্তার কান্নাজড়িত কন্ঠে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এ কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, আফনানের ভালো ফলাফল আমার কাছে খুশির খবর। কিন্তু যাকে নিয়ে আমি খুশি উদযাপন করবো, সেতো আমার কাছে নেই। ২ মাস ১২ দিন আগে গুলি করে আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে। ছেলের সাথে আমারও মৃত্যু হয়ে গেছে। এখন খুশি উদযাপন করবে কে? ওরা আমার কোল শূন্য করে দিয়েছে। তাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। এইচ এসসি পাশের পর বিদেশে পড়তে যাওয়ার কথা ছিল। আমি এখন বিদেশে পড়তে পাঠামু কারে? আমার আফনাননতো আমার কাছে নাই।

আফনান লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাঞ্চানগর গ্রামের বাস টার্মিনাল এলাকার মৃত সালেহ আহমেদ ও নাছিমা আক্তার দম্পতির ছোট ছেলে। তারা ২ ভাই-বোন। এছাড়াও তার এক পালক বোন রয়েছে। তার নাম শারমিন আক্তার। আফনান লক্ষ্মীপুর ভিক্টোরি কলেজের ছাত্র ছিলেন। সে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় (রোল: ১৭৮০৩৮ ও রেজিষ্ট্রেশন: ১৯১১৩৫৩৩৬৭) দিয়েছেন। 

আফনানের বড় বোন জান্নাতুল মাওয়া কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার ছোট ভাই আফনানের পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে। সে ৪.১৭ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এ পাশের কথা আমি কি ভাবে থাকে জানাবো। যদি কবরে গিয়ে জানানো ব্যবস্থা থাকতো, তাহলে থাকে জানাতাম। আমার ভাই আমার শুধু আমার ভাই ছিলো না, সে ছিলো আমার বন্ধু। কয়েক মাস আগে আমার বাবা মারা গেছে। আমি কাঁদতাম। সে শান্তনা দিতো। এখন কে আমায় শান্তনা দিবে? আমি আমার ভাইয়ের খুনিদের প্রশাসন কেন গ্রেফতার করে না। তারা কি চোখে দেখে না, কানে শুনে না। নাকি কানে তুলা দিয়েছে। আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। 

প্রসঙ্গত, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরের মাদাম ব্রিজ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আফনান। পরে ১৪ আগস্ট আফনানের মা নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুকে প্রধান করে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close