ই-পেপার বুধবার ১৬ অক্টোবর ২০২৪
বুধবার ১৬ অক্টোবর ২০২৪

৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা দ্রুত নেওয়ার দাবি
প্রকাশ: বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:০০ পিএম  (ভিজিট : ২২৬)
৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা দ্রুততম সময়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ৪৬ তম বিসিএস প্রিলি উত্তীর্ণ একদল চাকরিপ্রত্যাশী। 

তারা বলছেন, ৪৬তম বিসিএস বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত তাদের কাছে অভিশাপ হয়ে আসবে। যদি নতুন কমিশন মনে করে, স্বচ্ছতার স্বার্থে আবার তদন্ত হওয়া দরকার, তারা সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। প্রশ্নফাঁসের তদন্ত করে করে যদি প্রমাণ পায়, তবে অভিযুক্ত দের চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করে। কোনো পরিশ্রমী ও সৎ পরিক্ষার্থী যেন এই ‘নতুন বাংলাদেশ’ এ ক্ষতিগ্রস্ত না হন।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে চাকরিপ্রত্যাশীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. সিরাজুল ইসলাম সুমন। 

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের খবরে দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের কয়েকজন কর্মচারী বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এর মধ্যে এক কর্মচারি নাকি তার দেওয়া জবানবন্দিতে ৪৬তম বিসিএস প্রিলিতে তাদের চুক্তিতে ১৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ করানোর কথা বলেছেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ কেউ পুরো বিসিএস পরীক্ষা বাতিলের দাবি করছেন। 

তিনি বলেন, অথচ আমরা যারা ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারিতে অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছি, তারা স্বপ্নের পেছনে লেগেছি অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়ে। পিএসসি নামক সুশৃঙ্খল প্রতিষ্ঠানটি বরাবরই তার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার জন্য পরিচিত। কিন্তু যদি চাপের মুখে আজ তারা অবিচার করে, তবে দেশের এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি তার গৌরব হারাবে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ৪৬তম বিসিএস বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত তাদের কাছে অভিশাপ হয়ে আসবে। ১৬৪ ধারায় দেওয়া ওই কর্মচারীর জবানবন্দি যদি সত্যি হয় তবে জড়িদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। আমাদের দাবি-যেন ন্যায্য বিচার হয়, যাতে তাদের পরিশ্রমের মর্যাদা অক্ষুণ্ন থাকে। বাতিল নয় বরং দ্রুত লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হোক যাতে প্রতিটি পরীক্ষার্থী তাদের স্বপ্নের পথে এগিয়ে যেতে পারে। এরপরও যদি নতুন কমিশন মনে করে, স্বচ্ছতার স্বার্থে আবার তদন্ত হওয়া দরকার, আমরা সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। প্রশ্নফাঁসের তদন্ত করে করে যদি প্রমাণ পায়, তবে অভিযুক্ত দের চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করে। কোনো পরিশ্রমী ও সৎ পরিক্ষার্থী যেন এই নতুন বাংলাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত না হন। 

প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল ৪৬তম বিসিএস এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত সেই পরীক্ষায় ২ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৫ জন পরিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। ৯ মে প্রকাশিত প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফলে উত্তীর্ণ হন ১০৬৩৮ জন প্রার্থী।

সময়ের আলো/জেডআই




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close