প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:০০ পিএম (ভিজিট : ১৪২)
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেছেন, ক্যাম্পাসে কোনো দখলদারিত্ব, শোডাউন হচ্ছে না। শুধু ছাত্রদলের কর্মী হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা হলগুলোতে সিট পাচ্ছে না। কিন্তু ছাত্রলীগের নেতারা হলে থাকছে। আমরা পুরো বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পাসগুলোর প্রশাসনের বিবেচনার ওপর ছেড়ে দিয়েছি।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) খুলনার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি ও বিএনপির রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক খুলনা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের মনোভাব জানতে চান।
নাছির উদ্দীন আরও বলেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের ব্যাপারে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে জিরো টলারেন্স পলিসির কঠোর বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ক্যাম্পাসে একাডেমিক পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করছে ছাত্রদল। যারা ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতিত হয়েছে তাদের আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য পৃথক সেল গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দখলদারিত্বভিত্তিক গতানুগতিক ছাত্ররাজনীতির অবসান সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে একুশ শতকের উপযোগী একটি মেধাভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি বিনির্মাণ করার জন্য আমরা দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ছাত্রদলের রাজনীতির অংশীদার করতে চাই। যাতে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি সুষ্ঠু রাজনীতিচর্চার মধ্য দিয়ে আগামী দিনে পূর্ণাঙ্গ নাগরিকে পরিণত হতে পারেন, দেশপ্রেমিক হয়ে উঠতে পারেন। আমাদের বিশ্বাস, এর ফলে সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে বাংলাদেশের যাত্রা বেগবান হবে।
খুলনা সরকারি ব্রজলাল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে মত বিনিময়ের সময় শিক্ষার্থী প্রমিলা দাস বলেন, ক্যাম্পাসে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত ছাত্রসংগঠনের। শিক্ষার পরিবেশ যেন সবার জন্য সমান থাকে এমনটাই আমাদের দাবি।
এরপর তিনি খুলনা মহানগরীর খালিশপুরের বৈকালি বাজার, চিত্রালী বিএডিসি রোড, মা্রকেট বাজার, ফুলবাড়িগেট, রেলিগেট সহ বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা সম্বলিত লিফলেট ও ধানের শীষের স্টিকার উপহার হিসেবে সাধারণ জনগণের হাতে তুলে দেন।
সময়ের আলো/জেডআই