প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:২৩ পিএম (ভিজিট : ২০৬)
দেশে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। এসময় অসাধু ও মুনাফা শিকারী ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে পণ্যমূল্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হওয়ার দাবি করে অবিলম্বে তা নিয়ন্ত্রণ করতে ৯টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অসাধু ও মুনাফা শিকারি ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিক বাড়ার প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধনে ক্যাবের নেতারা এসব সুপারিশ জানান।
সুপারিশতুলে ধরে ক্যাব জানায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য সারা দেশে ‘বিশেষ টাস্কফোর্স’ এর কার্যক্রম চলমান রাখতে হবে। পাইকারি ও খুচরা বাজারে সকল পণ্যের বিক্রয়মূল্য দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে। এজন্য জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে সারা দেশে জোর পদক্ষেপ নিতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও সরবরাহের তথ্য সংগ্রহ, সরবরাহ ও প্রাপ্তি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নিশ্চিত করতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি মূল্য, পাইকারি মূল্য ও খুচরা মূল্য নির্ধারণ করতে হবে ও তা বাস্তবায়নের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি, মজুদকারী ও মুনাফা শিকারিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে এবং তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
ক্যাব আরও জানায়, পেঁয়াজ, রসুন ও আদার অধিকতর চাষাবাদের জন্য বীজ, সার ও লাগসই আধুনিক প্রযুক্তি কৃষকদের নিকট সহজলভ্য করতে হবে। প্রাণিজ পুষ্টির চাহিদা পূরণে ক্ষুদ্র পোল্ট্রি খামারিদের আর্থিক প্রণোদনা দিতে হবে। পেঁয়াজ, রসুন, আদা, সয়াবিন তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক ছাড় দিয়ে পণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলার সুযোগ দিতে হবে এবং পণ্য আমদানির পর তা যেন নির্দিষ্ট দামে বাজারে বিক্রি হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। সড়কে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন হয়রানি বন্ধ করার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সময়ের আলো/জেডআই