ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

নিয়োগ পদোন্নতি পদায়ন 
লেজেগোবরে জনপ্রশাসন
প্রকাশ: সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪, ৭:১৫ এএম  (ভিজিট : ১৭২)
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে গত ৩০ সেপ্টেম্বর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল অবসরে থাকা ইলাহী দাদ খানকে। কিন্তু তিনি দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি হওয়ায় পরের দিনই তার নিয়োগ বাতিল করে সরকার।

একইভাবে গত সোমবার বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান একেএম মতিউর রহমানকে অতিরিক্ত সচিব থেকে পদোন্নতি দিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব করার পরের দিনই ওএসডি করা হয়। তিনি বিগত সরকারের সমর্থক ও প্রশাসনে প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত এবং বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিয়ে ২৯টি বই লিখেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এর আগে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পরপরই মাঠ প্রশাসনে ব্যাপক রদবদলের অংশ হিসেবে ৫৯ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগের পরে তীব্র হট্টগোলের মুখে আটজনকে পরের দিনই প্রত্যাহার করে নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে চারজনের কর্মস্থল বদলে দেওয়ার পাশাপাশি ওএসডি করা হয় একজনকে।

গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে বারবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের এসব ঘটনায় জনপ্রশাসনে লেজেগোবরে অবস্থার চিত্র ফুটে উঠেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, যথাযথ যাচাই-বাছাই ছাড়াই ঢালাও পদোন্নতি ও নিয়োগের কারণে দুর্নীতিবাজরাও বঞ্চিত সেজে সুযোগ নিচ্ছেন। এ ছাড়া ডিসি নিয়োগে চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়া জনপ্রশাসন সচিব ও দুই যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ ওঠার পর প্রশাসনে অস্থিরতা আরও বেড়েছে।

অন্যদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে থাকা সচিবদের চুক্তি বাতিলের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন সচিবকে ওএসডি করায় শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমন অবস্থার মধ্যেই সদ্যবিদায়ি সচিব মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ ও জাহাঙ্গীর আলমসহ কয়েকজন সাবেক সচিব গ্রেফতার হওয়ায় দলবাজ শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ওএসডি থাকা কর্মকর্তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়ে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিদায়ি সরকারের আমলে ‘বঞ্চিত’দের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়ার পাশাপাশি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া শীর্ষ কর্মকর্তাদের চুক্তি বাতিল করেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মো. মনজুর হোসেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব খায়রুল আলম সেখ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
একই সঙ্গে সচিবসহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদ ও মাঠ প্রশাসন থেকে ‘স্বৈরাচারী সরকারের অনুগত’ কর্মকর্তাদের সরিয়ে দিয়ে তাদের জায়গায় আগের কোণঠাসা কর্মকর্তাদের পদায়ন শুরু করে। কিন্তু চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ও পদায়ন করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারকে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অবসরে পাঠানো পাঁচ অতিরিক্ত সচিবকে গত ১৭ আগস্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার পরের দিন ১৮ আগস্ট সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে তাদের ‘সিনিয়র সচিব’ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। আবার এ পাঁচজনের মধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া আকমল হোসেন আজাদকে তিন দিনের মাথায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে বদলি করা হয়। রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সচিব করা হয় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আবদুল বাকীকে। একইভাবে ১৪ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে নিয়োগ পাওয়া মো. মোকাব্বির হোসেনকে তিন দিনের মাথায় ১৭ আগস্ট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। সবশেষ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে গত সোমবার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল অবসরে থাকা ইলাহী দাদ খানকে। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগে তিনি দুদকের মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি হওয়ায় পরের দিনই তার নিয়োগ বাতিল করা হয়।

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্য সিদ্ধান্ত বদলের প্রয়োজন হচ্ছে। এ ছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক নানা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হযবরল অবস্থা তৈরি হয়েছে।কর্মকর্তাদের পার্সোনাল ডাটা শিট (পিডিএস) সঠিকভাবে পর্যালোচনা না করে উচ্চপদে পদোন্নতি দেওয়ার পর ওই কর্মকর্তাকেই দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে পরের দিনই পদ থেকে অপসারণের ঘটনায় প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙে পড়ার চিত্র ফুটে উঠেছে। নানা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত, প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া থেকে কথিত পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ দেখানো ও হট্টগোল করা এবং পদায়নের ক্ষেত্রে আর্থিক দুর্নীতির অনাকাক্সিক্ষত অভিযোগ জনপ্রশাসনের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করেছে। বিশেষ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি অভিযোগের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর প্রশাসনসহ দেশজুড়ে হইচই পড়ে গেছে। বিব্রত করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও।

বিশ্লেষকরা বলেন, ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জনপ্রশাসনে যে মাত্রায় বিক্ষোভ ও অস্থিরতা দেখা গেছে, এর আগে দেশে এ রকম কখনোই দেখা যায়নি। পদোন্নতি ও পদায়নকে ঘিরে প্রশাসনে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে প্রশাসনিক কাজে।অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রশাসনসহ বিভিন্ন সেক্টরে কর্মকর্তাদের পদায়ন থেকে পদোন্নতির সব ক্ষেত্রেই গলদ দেখতে পাওয়া গেছে। এ কারণে অবসরে থাকা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার চার্জশিট থাকার পরও তাকে সচিব হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে পরে বাতিল করা হয়েছে। অন্যজনকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব করার পর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বই লেখাসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে তার প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করা হয়েছে। আবার কোনো পদে উপযুক্ত কর্মকর্তা বাছাই না করে সেই পদে কর্মরতদের দ্রুত ওএসডি করা হয়েছে। এতে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে শূন্যতা তৈরি হয়েছে। একইভাবে ডিসি ফিটলিস্ট চূড়ান্ত না করে একযোগে ২৫ ডিসিকে মাঠ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ওএসডি করা হলেও সেখানে কাউকে এখনও পদায়ন করা হয়নি। নানা বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে বাতিল হওয়ায় লক্ষ্মীপুর, জয়পুরহাট, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, শরীয়তপুর, দিনাজপুর ও রাজবাড়ীতে ডিসি পদ এখনও শূন্য রয়েছে। আর পাঁচটি জেলায় বিগত সরকারের ডিসি বহাল রয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, ডিসি নিয়োগ নিয়ে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ায় ফাঁকা থাকা আট ডিসি পদে নিয়োগ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জন্য কোনো উপদেষ্টাকে আলাদা দায়িত্ব না দেওয়ার কারণে সিদ্ধান্ত নিতেও সমস্যা হচ্ছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বঞ্চিত ব্যক্তিদের পাশাপাশি বঞ্চিত সেজে কিছু সুবিধাভোগী, বিতর্কিত ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাও পদোন্নতি বাগিয়ে নিয়েছেন। পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে এমন ব্যক্তিও রয়েছেন, যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বিভাগীয় মামলা হয়েছিল। এমনকি দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলা চলছে এমন কর্মকর্তাকেও পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তারা বলেন, পটপরিবর্তনের পর বিসিএস ১৫তম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে তিন ধাপে পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত সচিব হয়েছেন। ২০১৮ সালে পরস্পর যোগসাজশে বিবিয়ানা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে ৩৩ একর জমি অধিগ্রহণে বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি দেখিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া বিগত সরকারের সুবিধাভোগী কিছু কর্মকর্তাও অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন অন্তর্বর্তী সরকারের দুজন উপদেষ্টার একান্ত সচিব হয়েছেন। একজন বিগত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পদোন্নতিবঞ্চিত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা শুধু পদোন্নতি পাওয়ায় শিক্ষা, তথ্য, কৃষিসহ অন্যান্য ক্যাডারে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। পদোন্নতিসহ বৈষম্য নিরসনের দাবিতে বিসিএসের অন্য ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা ‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’ গঠন করে কর্মসূচি পালন করেছেন।

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আনোয়ার উল্ল্যাহ বলেন, নিয়মনীতি না মেনে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার দলীয় বিবেচনায় পদোন্নতি ও পদায়ন করার কারণে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের মধ্যে তৈরি হওয়া ক্ষোভের কারণে প্রশাসনে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বিগত সরকারের সময়ে যারা অনিয়ম ও অনৈতিকভাবে সুবিধা নিয়েছেন, বিভিন্ন পদে বসেছেন, তারাই মূলত এখন সরকারকে অসহযোগিতা করছেন। এ ছাড়া যারা দলবাজ, দুর্নীতিবাজ এবং কয়েক মাসের মধ্যে অবসরে চলে যাবেন, তাদের অনেকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন না।

বেশি দিন এ অস্থিরতা চলতে থাকলে সরকার ইমেজ সংকটে পড়তে পারে বলে মনে করেন সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম মো শহীদ খান। তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেসব উদ্যোগ নিচ্ছে, সেগুলো দৃশ্যমান করে তোলার জন্য প্রশাসনে অস্থিরতা থামাতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ দুই মাস হতে চলেছে। তাই এখন একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় প্রশাসনিক শৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়বে।

এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংযুক্ত উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, দলীয়করণের কারণে প্রশাসনে যে বড় ক্ষতি হয়েছে বর্তমান সরকার তা কাটিয়ে উঠে প্রশাসনকে পুনরায় নিয়মের মধ্যে আনার চেষ্টা করছে। তবে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আরেকটু সময় লাগবে। প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ও জনবান্ধব করে গড়ে তোলার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সেগুলোর সবই সরকার গ্রহণ করছে। তিনি বলেন, প্রশাসনে এখন যে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে, শিগগিরই সেটি কেটে গিয়ে কাজে গতি ফিরবে।

সময়ের আলো/আরএস/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close