ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা, বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ান
প্রকাশ: সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪, ২:১০ এএম  (ভিজিট : ৯০)
গত দুই মাসে একের পর এক বন্যার কবলে পড়ল দেশ। সিলেটের একাংশ ও পূর্বাঞ্চলের বন্যার ক্ষত এখনও শুকায়নি। এরপর দেখা গেল উত্তরবঙ্গের রংপুর-কুড়িগ্রামে বন্যা। এখন ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত হলো শেরপুর, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ অঞ্চল। টানা ভারী বৃষ্টি ও ভারতের পানির ঢলে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলার অনেক এলাকা। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েকশ গ্রাম। মারা গেছেন কয়েকজন। মানুষের দুর্ভোগের সীমা নেই। 

সময়ের আলোর শেরপুর প্রতিনিধি জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে টানা ভারী বৃষ্টি ও ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ভারত সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরের ১৭টি ইউনিয়নের প্রায় লাখো মানুষ। বন্যার পানির তোড়ে ভেসে গিয়ে ডুবে মৃত্যু হয়েছে নারী ও কিশোরসহ পাঁচজনের। পানির তোড়ে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছগাছালি, গবাদিপশু, বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েকটি মহাসড়কসহ অসংখ্য গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক। সংকট তৈরি হয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের। এ ছাড়া ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলার গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে আকস্মিক ঢলের কারণে অবর্ণনীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। এমন বন্যার কবলে পড়তে হবে, তা মানুষের কল্পনার বাইরে ছিল। প্রস্তুতি না থাকায় এখন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। দুর্গম এবং পাহাড়ের কাছাকাছি এলাকায় থাকা সমতলের জাতিগোষ্ঠীগুলোর অবস্থাও শোচনীয়।

বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে দুর্গত এলাকাগুলোতে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। পরিচিতদের বাসাবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যার পূর্বাভাস ঠিকমতো পাওয়া গেলে ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। উদ্ভূত বন্যা পরিস্থিতিতে পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার ও ত্রাণকাজ পরিচালনায় ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সহায়তা সমন্বয় সেল’ গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।  ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার তরফ থেকে শুকনা খাবারের প্যাকেট ও খাওয়ার পানি দেওয়া হচ্ছে। তবে তা পর্যাপ্ত নয়। বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষার্থীরাও ত্রাণসহায়তা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারিভাবে তাদের পাশে দাঁড়ানো এখন জরুরি।

আমনের আবাদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। এ অবস্থায় এ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলো। কৃষকরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেন। বন্যার পরে কৃষকদের অন্য ফসলের বীজ ও সার দিয়ে সহায়তা দিতে হবে। যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের পাশেও দাঁড়াতে হবে প্রশাসনকে। বন্যা-পরবর্তী নানা চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। বিশেষ করে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ। এতে বেশি ভুক্তভোগী হয় শিশুরা। পূর্বাঞ্চলের বন্যার পর এ সমস্যা প্রকট হয়ে উঠেছিল।

আশা করি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসন সম্মিলিতভাবে বন্যা ও বন্যা-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সচেষ্ট থাকবে।


সময়ের আলো/আরএস/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close