প্রকাশ: রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:১৬ পিএম (ভিজিট : ২০৮)
সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের লোক বলে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করায় তিন চাঁদাবাজকে আটক করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি শুটার গান উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (৫ অক্টোবর) রাত পৌনে ৯টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের উত্তর রাজারবাগান এলাকার খাইরুল ইসলামের দোকানের সামনে থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটক তিন চাঁদাবাজ হলো- সাতক্ষীরা শহরের রাজার বাগান উত্তরপাড়া এলাকার আব্দুল হাকিম শেখ এর ছেলে রিজাউল ইসলাম ওরফে খোকন (৪৫), মৃত কসিম উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আলী (৪০) ও মৃত খায়রুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৬)।
ভুক্তভোগী শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিনের ছেলে মো. আব্দুল অহিদ সরদার (৫২) জানান, তিনি গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া সরকার পাড়ার মৃত শেখ মমিন উদ্দীনের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে উঠার পর আসামিরা তাকে আওয়ামী লীগের লোক বলে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আসামিরা গত ৫ অক্টোবর বেলা ১০টার দিকে আমার ভাড়া বাসায় এসে আমার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা আমাকে ধরে আসামি সাইফুল ইসলামের দোকানে নিয়ে যায়। সেখানে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র, পিস্তল, চাকু প্রদর্শন করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আমার কাছ থেকে মোটরসাইকেলের চাবি এবং কাছে থাকা দুই হাজার টাকা জোর পূর্বক চাঁদা হিসেবে ছিনিয়ে নেয়। অবশিষ্ট টাকা সন্ধ্যার মধ্যে দেওয়ার জন্য আমাকে হুমকি দেয়।
‘এ ঘটনার পর আমি নিরুপায় হয়ে সাতক্ষীরা আর্মি ক্যাম্পে একটি অভিযোগ দেই। আসামিরা রাত ৮ টার দিকে বাকী চার লাখ ৯৮ হাজার টাকার জন্য আমার মোবাইলে রিং করে সাইফুলের দোকানের সামনে যেতে বলে। তখন আমি সেনাবাহিনীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে সাইফুলের দোকানের সামনে গেলে তারা পুনরায় আমার কাছে চাঁদার টাকা দাবি করে। এসময় রাত পৌনে ৯ টার দিকে সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশের সদস্যরা সাইফুল ইসলামের মুদি দোকানের সামনে আসলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে উল্লিখিত আসামি তিন জনকে আটক করে। এ সময় অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন আসামি দৌড়ে পালিয়ে যায়।’
তিনি বলেন, পরবর্তীতে আসামিদের দেহ তল্লাশি করে ৩ হাজার ৮৯০ টাকা কালো রংয়ের কারেন্টের তার দ্বারা পেঁচানো কাঠের বাটযুক্ত ফায়ারিং পিন সংযুক্ত একটি ওয়ান শুটারগান জব্দ করা হয়। সেনাবাহিনী ও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা আমার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার বিষয়টি স্বীকার করে।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ (রোববার) আটকদের আদালতের মাধ্যমে জেল হতে পাঠানো হয়েছে।
সময়ের আলো/আরআই