ই-পেপার মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
ই-পেপার

মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

সত্য-মিথ্যা ও ভালো-মন্দের পার্থক্য জানতে হবে
প্রকাশ: রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ১:১৪ এএম  (ভিজিট : ৭২৪)
পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘আমি ভালো ও মন্দ উভয় পথ তার জন্য সুস্পষ্ট করে রেখে দিয়েছি’ (সুরা বালাদ : ১০)। আরও বলেছেন, ‘আমি তাদের পথ দেখিয়ে দিয়েছি, চাইলে তারা কৃতজ্ঞ হতে পারে, আবার চাইলে হতে পারে অস্বীকারকারী’ (সুরা দাহর : ৩)। মানুষের মধ্যে একটি নফসে লাওয়ামাহ বা তিরস্কারকারী বিবেক আছে। সে অসৎকাজ করলে তাকে তিরস্কার করে (সুরা কেয়ামা : ২)। মানবজাতির সূচনা থেকেই আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন। তাদের ওপর কিতাব নাজিল করেছেন। পার্থিব জীবনের ভালো-মন্দ, আলো-আঁধার সব সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেছেন। মানুষের আমলনামার ওপর ভিত্তি করেই পরকালে তাদের জন্য জান্নাত ও জাহান্নামের ফায়সালা করা হবে।

প্রতিটি মানুষ ভালো ও মন্দ-উভয় দিকের সমন্বয়ে ও মিশেলে জীবন অতিবাহিত করে। কারণ মানুষের সঙ্গে ফেরেশতা ও শয়তানের ছোঁয়া রয়েছে। তাদের ছোঁয়া ব্যতীত মানবজাতির জীবন হয় না। তাই মানবজীবনে ফেরেশতা ও শয়তান প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। ফেরেশতারা মানুষকে ভালো কাজের নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। আর শয়তান মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণার সৃষ্টি করে। তবে সুকর্ম অর্জন ও কুকর্ম বর্জনের শক্তি আল্লাহ তায়ালা মানুষের বিবেকে সংরক্ষিত রেখেছেন। সেই হিসেবে মানুষকে ভালো-মন্দ বিবেচনা করে প্রতিটি কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। 

এটিই হবে মনুষ্যত্বের পরিচায়ক। মানুষের মনে সত্য বা উত্তম কাজের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হলে তখন বুঝে নিতে হবে এটি ফেরেশতার পক্ষ থেকে কল্যাণের ইঙ্গিত। আর যদি মিথ্যা বা মন্দ কাজের প্রতি অন্তর ধাবিত হয় তখন ধরে নিতে হবে তা শয়তানের প্ররোচনা। এভাবে মানবজাতি ফেরেশতা ও শয়তানের প্রভাবে প্রভাবিত হয়। এ জন্য প্রত্যেক মানুষকে প্রতিটি কাজে ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, বৈধ-অবৈধ ইত্যাদি বিবেচনা করে কাজ সম্পাদনে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় মানবজীবনে সফলতা অর্জন করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। 

কেননা মানবজাতির বোঝা উচিত যে, ফেরেশতা দ্বারা মঙ্গলময় কাজের প্রতি ইঙ্গিত হয়, আর শয়তান দ্বারা অমঙ্গল কাজের প্রতি ইঙ্গিত হয়। এ মর্মে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘মানুষের সাথে শয়তানের একটি ছোঁয়াচে রয়েছে এবং ফেরেশতার একটি ছোঁয়াচে রয়েছে। শয়তানের ছোঁয়াচে হলো অমঙ্গলের ভিত প্রদর্শন এবং সত্যকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা। পক্ষান্তরে ফেরেশতার ছোঁয়াচে হলো মঙ্গলের সুসংবাদ প্রদান এবং সত্যের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন। সুতরাং যে ব্যক্তি ফেরেশতার ছোঁয়াচে অনুভব করবে সে যেন মনে করে যে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে। 

আর এর জন্য শুকরিয়া আদায় করে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি ভিন্নতর অবস্থা অনুভব করবে, সে যেন শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চায়।’ অতঃপর হুজুর (সা.) কুরআনের এই আয়াত পাঠ করলেন- ‘শয়তান তোমাদেরকে অভাবের ভয় দেখায় এবং অশ্লীলতার আদেশ দেয়।’ (সুরা বাকারা : ২৬৮; তিরমিজি : ৩২৫৬)

সময়ের আলো/আরএস/





https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ। নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।
ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close