প্রকাশ: শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:৪৭ পিএম আপডেট: ০৫.১০.২০২৪ ১১:৫৫ পিএম (ভিজিট : ১৩৭)
বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারে অভিযুক্ত পি. কে হালদারের তিন সহযোগীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন কলকাতার আদালত।
সহযোগীরা হলেন, পি কে হালদারের ভাই প্রাণেশ হালদার, ইমন হালদার ওরফে ইমাম হোসেন এবং শর্মী হালদার ওরফে আমানা সুলতানা।
শনিবার (৫ অক্টোবর) কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিশেষ ইডি কোর্ট-১ বিচারক প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলাটি ওঠে। এ সময় বিচারক দুপক্ষের সওয়াল জবাব শুনে পি কে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্রের জামিন আবেদন খারিজ করেন। তবে পি কে হালদারের ভাই প্রাণেশ হালদার, ইমন হালদার ওরফে ইমাম হোসেন এবং শর্মী হালদার ওরফে আমানা সুলতানার জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিন ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনের জামিন আবেদন আদালত মঞ্জুর করেছেন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৪৭৯ ধারা (আগের অর্থ পাচার পাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২ বা পিএমএলএ) অনুযায়ী গ্রেপ্তারকৃতরা মোট সাজার এক-তৃতীয়াংশ সময় ইতিমধ্যেই বিচারাধীন অবস্থায় সংশোধনাগারে অতিবাহিত করেছেন। এমন পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন। তবে জামিনের শর্ত হিসেবে ৫ লাখ রুপির ব্যক্তিগত বন্ড জমা দেওয়ার কথা বলেছেন আদালত। একই সঙ্গে ভারতের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে ও এই মামলার কোনো সাক্ষী অথবা প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাতেও সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
অরিজিৎ জানান, এই মামলার অপর তিন আসামি পি কে হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, যেহেতু বাংলাদেশের সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তাই তাঁদের জামিন আবেদন বাতিল করা করেছে আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ৮ নভেম্বর।
গ্রেফতারের পর থেকে দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর আদালতের নির্দেশে পাঁচ পুরুষ আসামি রয়েছেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে। অন্যদিকে একমাত্র নারী অভিযুক্ত রয়েছেন আলীপুর আদালতের নারী সেলে। জামিন পেলেও অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজন এখনই কারামুক্ত হচ্ছেন না। মাঝে আগামীকাল রোববার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় আগামী সোমবার তারা কারামুক্ত হতে পারেন।
সময়ের আলো/এম