ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

১০ গজ অন্তর গাছের গোড়া, করাতে উজাড় গজারি বন
প্রকাশ: শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:২৬ পিএম  (ভিজিট : ১৮৬)
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দুর্বৃত্তরা কেটে নিয়ে গেছে গজারিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। পড়ে আছে গোড়া। অভিযোগ রয়েছে বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রতি রাতেই এসব গজারি বন উজাড় হচ্ছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের বোয়ালি বন বিটের আওতাধীন এলাকায় গিয়ে এমনি চিত্র দেখা গেছে।

জানা গেছে, কালিয়াকৈর রেঞ্জ আওতাধীন উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের বোয়ালি বন বিভাগ অফিস। এই অফিসের আওতায় রয়েছে হাজার হাজার একর সরকারি জমি। এই জমিতে রয়েছে গজারি গাছসহ বিভিন্ন কাঠ বাগান। এসব সরকারি জমি রক্ষার্থে একটি সরকারি অফিস রয়েছে। এসব কর্মকর্তারা অসাধু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আঁতাত করে শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই অফিসের ১০০ গজ সামনে সফিপুর পাইকপাড়া আঞ্চলিক সড়কের দুপাশে গজারি বন ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। গত রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তদের করাতের থাবায় উজাড় হচ্ছে গজারি বন ও বিভিন্ন প্রজাতির সরকারি কাঠ গাছ। তবে প্রতিদিন রাতের আঁধারে বাগানের একাধিক গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে তারা অভিযোগ এলাকাবাসীর। যার ফলে হুমকির মুখে পড়ছে এলাকাবাসী। ৮ থেকে ১০ গজ অন্তর পড়ে আছে কাটা গাছের গোড়া। কিছু গোড়া যে সদ্য কাটা, সেই ছাপ স্পষ্ট। কয়েকটি স্থানে গাছের গোড়াও তুলে নিয়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্ত। ওই বন কর্মকর্তার যোগসাজশে সরকারি উডলট প্লটের গাছ টেন্ডার ছাড়াই কেটে নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।

ওই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক জানান, প্রতি রাতে দুর্বৃত্তরা গজারি কেটে পাচার করে। আর দিনের বেলায় কেটে ফেলা গাছের গোড়া স্থানীয় লোকজন জ্বালানির জন্য তুলে নেয়। ঘরবাড়ি-দোকান তৈরির খুঁটি, মাছ ধরার নৌকা ও পাকা ভবন তৈরির কাজে এই গাছ ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতিটি গজারি বিক্রি হয় ৯০০ থেকে ১৩০০ টাকায়। এছাড়াও সরকারি উডলট কাঠের বাগান সরকারি নিয়ম ছাড়াই কেটে নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ রয়েছে, ওই বন কর্মকর্তারা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সরকারি জমিতে ঘরবাড়ি করে দিচ্ছে।

কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালি বন কর্মকর্তা ইউনুছ জানান, জনবল ও অস্ত্র না থাকায় রাতে বনে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তারপরেও আপনি বলেছেন খোঁজ নিচ্ছি।

কালিয়াকৈর রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সময়ের আলো/আরআই




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close