ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হাতছাড়া
সরকারি জায়গা গিলে ভবন নির্মাণের হিড়িক
প্রকাশ: শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:২২ এএম  (ভিজিট : ১৭৮)
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভবন নির্মাণের হিড়িক পড়েছে। শুধু ঘাঘর বাজারেই এমন ২৭৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সন্ধান মিলেছে। সরকারি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকাশ্যে এমন অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালিত হলেও অদৃশ্য কোনো এক কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। এতে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। 

এমন পরিস্থিতিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অবৈধভাবে সরকারি জায়গায় গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন কোটালীপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক দত্ত। এ বিষয়ে তিনি বলেন, শিগগির এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে।  

এদিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন কোটালীপাড়া উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মান্নান শেখ। এ বিষয়ে জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে এই যুবদল নেতা বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খাল দখল করে ভবন নির্মাণ করায় খালগুলো সাধারণ মানুষের ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। 

কোটালীপাড়া উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মান্নান শেখ আরও বলেন, আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে সরকারি জায়গা দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করায় সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই আমি এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ দখলদারদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। 

সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার সদর, ঘাঘর বাজার ও এর আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ২৭৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া ভাঙ্গারহাটের চারপাশে ৭০টি, কোটালীপাড়া হাসপাতাল রোডে ২০টি, রাধাগঞ্জ বাজারে ৫০টি, রাধাগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে ১৪টি, মতিরমোড় থেকে উনশিয়া ঘোষবাড়ী পর্যন্ত এলাকায় ১৫টি, পিড়াবাড়ী বাজারে ৩০টি, শুয়াগ্রাম বাজারে ২০টি, কুশলা বাজারে ২০টি, ধারাবাশাইল বাজারে ২৫টি, ওয়াপদার হাট বাজারে ২০টি, রামশীল বাজারে ১০টি, রামশীল ব্রিজের দুপাশে ১০টি, ত্রিমুখী বাজারে ১০টি, বান্ধাবাড়ী বাজারে ১৫টি, তরুর বাজারে ৩০টি, কালীগঞ্জ বাজারে ৩৫টি, চৌধুরীর হাটে ১০টি, ধারাবাশাইল থেকে কান্দি পর্যন্ত সড়কের পাশে ২০টি, তারাশী থেকে টুপরিয়া বাজার পর্যন্ত সড়কের পাশে ৪০টি, কুশলা বাজার থেকে মান্দ্রা পর্যন্ত সড়কের পাশে ৩৫টি এবং শিকির বাজার থেকে বুজুর্গকোনা পর্যন্ত সড়কের পাশে ২৫টি অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। অপরদিকে ঘাঘর নদীসহ উপজেলার বিভিন্ন খাল দখল করে প্রভাবশালী মহল বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা গড়ে তুলেছে। 

ঘাঘর বাজারে আমিনুল ইসলাম হাওলাদার, সামসুদ্দিন মিয়া, কাঠ ব্যবসায়ী নুরুজ্জামানসহ একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 
অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে রাজি হননি অধিকাংশ দখলদার। কাঠ ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান সরকারি জায়গা দখলের বিষয়ে মুখ খুললেও অস্বীকার করেছেন দখলের অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ঘাঘর নদীর ভেতরে আমার জায়গা আছে। জমির দলিলও আছে। আমার জায়গায় আমি বহুতল ভবন নির্মাণ করছি।

সময়ের আলো/আরএস/ 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close