ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ছুটির দিনেও খোলা ছিল ৩০ ভাগ কারখানা
প্রকাশ: শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪, ২:৩৫ এএম  (ভিজিট : ৮৬)
গাজীপুরে ছুটির দিনেও অধিকাংশ পোশাক কারখানা ছিল খোলা। মূলত চলমান শ্রমিক আন্দোলনে কারখানা উৎপাদনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ছুটির দিনে কারখানাগুলো খোলা রাখা হয়।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে শুক্রবার সকাল থেকে শ্রমজীবী মানুষ নিজেদের কর্মস্থলে যোগ দিয়েছে। কারখানার নিরাপত্তা রক্ষায় নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী ছাড়াও কাজ করছে শিল্প পুলিশের সদস্যরা।

শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরে শিল্প এলাকায় বকেয়া বেতন, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, নতুন করে শ্রমিক নিয়োগসহ নানা দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে শ্রমিক বিক্ষোভ চলে আসছিল। এসব দাবি আদায় করতে শ্রমিকরা অবরোধ করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক। ভোগান্তিতে পড়ে এসব মহাসড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ। আন্দোলনের কারণে জেলার অধিকাংশ কারখানায় উৎপাদনও ব্যাহত হয়। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে গাজীপুরে শুক্রবার  ৩০ ভাগ কারখানা খোলা রাখা হয়। বাকি কারখানাগুলোতে সাপ্তাহিক ছুটি চালু রাখা হয়েছে। গাজীপুরে বৃহস্পতিবার ৯টি কারখানায় উৎপাদন প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। ছুটির দিনে বন্ধ কারখানাগুলো খোলেনি।

পোশাক কারখানা মালিকরা জানান, শুক্রবার কোনো শ্রমিক বিক্ষোভ হয়নি। কিছু কারখানার শ্রমিকরা যখন আন্দোলন শুরু করে তখন অনেক কারখানা এমনিতেই ছুটি ঘোষণা করা হয়। এতে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করেই বন্ধের দিনে কারখানা খোলা রাখা হয়েছে।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের তথ্য মতে, পুরো জেলায় সব মিলিয়ে নিবন্ধিত কারখানা রয়েছে ২ হাজার ৬৩৩টি। এর বাইরে অনিবন্ধিত কারখানা আছে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০টি। এসব কারখানায় শ্রমিক কাজ করে প্রায় ২২ লাখ। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর  শ্রমিকরা ১৮ দফা দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। পোশাক কারখানার এসব শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে রাজি হয় মালিক পক্ষ। সম্প্রতি সচিবালয়ে সরকার, বিজিএমইএ ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বিদ্যমান হাজিরা বোনাস ২২৫ টাকা করে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সব কারখানায় সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন করারও ঘোষণা দেওয়া হয়।  শ্রমিকদের সব বকেয়া মজুরি পরিশোধ করতে হবে ১০ অক্টোবরের মধ্যে। তারপরও গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেয়।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, গাজীপুরের শুক্রবার বেশিরভাগ কারখানাই বন্ধ। তবে আমরা তথ্য নিয়ে জানতে পেরেছি কারখানার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে জেলার ৩০ ভাগ কারখানা খোলা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কোথাও কোনো শ্রমিক অসন্তোষের খবর আসেনি।


সময়ের আলো/আরএস/




এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close