ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

শেরপুরে নদীর বাঁধ ভেঙে ১০ ইউনিয়ন প্লাবিত
প্রকাশ: শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:৪৯ পিএম আপডেট: ০৪.১০.২০২৪ ৬:৫১ পিএম  (ভিজিট : ৩৫৩)
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে টানা ভারি বর্ষণ ও ভারি বর্ষণের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরের সবক’টা নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরমধ্যে কোন কোন নদীর একাধিক স্থানে বাঁধ ভেঙে আশপাশের গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে আশপাশের এলাকা। শেরপুর শহরসহ জেলার অন্যান্য উপজেলা ও পৌর শহরে জলবদ্ধতায় বাসা-বাড়িতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ।

শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলার পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদ সীমার ৬৫৯ মিলিমিটার, পাহাড়ি নদী চেল্লাখালীর পানি ৫২৫ মিলিমিটার ও ভোগাই নদীর দুটি পয়েন্টের পানি ১৭২ মিলিমিটার এবং ৫৬ মিলিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও অপর দুটি পাহাড়ি নদী মহারশি ও সোমেশ্বরীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা ভারি বর্ষণের ফলে এসব নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে নদীর বাঁধ ভেঙে ও বাঁধ উপচে প্রবল বেগে ঢলের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। 

ঝিনাইগাতি উপজেলা সদর বাজার ও উপজেলা পরিষদ ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। নালিতাবাড়ীর শিমুলতলা, ঘাকপাড়া, মন্ডলিয়াপাড়া ভজপাড়া ও সন্নাসীভিটায় ভোগাই এবং চেল্লাখালীর বাঁধ ভেঙেছে। নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে শেরপুর-নালিতাবাড়ী ভায়া গাজিরখামার সড়ক। চেল্লাখালী নদীর তীরবর্তী বাতকুচি এলাকা প্লাবিত হয়ে অনেকে বাড়িতে আটকা পড়েছেন। আটকা পড়াদের উদ্ধারে অংশ নিয়েছেন নালিতাবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। নন্নী-আমবাগান সড়ক, নন্নী-মধুটিলা ইকোপার্ক সড়ক, আমবাগান-বাতকুচি সড়ক চেল্লাখালী নদীর পানিতে তলিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে। এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ এখন পানিবন্দি।

এছাড়াও জেলার প্রতিটি শহরে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। পাহাড়ি ঢলের পানিতে আকস্মিক প্লাবিত হয়েছে নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতির অন্তত ১০টি ইউনিয়ন। এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ আকস্মিক পানিবন্দি হয়ে পড়ছে। তলিয়ে গেছে শত শত একর জমির উঠতি আমন ফসল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সকাল দশটা পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে শেরপুরে ১৭৭ মিলিমিটার এবং নালিতাবাড়ীর দুটি পয়েন্টে ২৫৫ ও ২৬০ মিলিমিটার।

সময়ের আলো/জিকে




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close