ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

পর্যটক খরায় ধুঁকছে পুঠিয়া রাজবাড়ী
প্রকাশ: শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:১৮ এএম  (ভিজিট : ২৭৮)
পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে ঐতিহাসিক পুঠিয়া রাজবাড়ী ও জাদুঘর। সপ্তাহের প্রতিদিনই পর্যটকদের পদচারণে মুখর থাকত এই রাজবাড়ী। দেশ-বিদেশ থেকে এখানে ঘুরতে আসতেন দর্শনার্থীরা। বিশেষ করে সাপ্তাহিক ছুটির দুই দিন শুক্র ও শনিবার মানুষে ভরপুর থাকত পুঠিয়ার ঐতিহাসিক এই দর্শনীয় স্থান। কিন্তু সেখানে এখন পর্যটকের আনাগোনা নেই বললেই চলে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে দেখা যাচ্ছে এই চিত্র।

এ বিষয়ে প্রতœতত্ত্ব অধিদফতরের পুঠিয়া রাজবাড়ী জাদুঘর অ্যাসিসট্যান্ট কাস্টোডিয়ান হাফিজুর রহমান বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে দর্শনার্থী কমে গেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারাও এখন আর ভিজিট করেন না। সেই সঙ্গে বিদেশি দর্শনার্থী একেবারেই নেই। তবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে রাশিয়ানরা দুয়েকজন করে আসা শুরু করেছেন। আশা করা যায়, সামনে শীতকালের মধ্যেই আবার পুরোদমে দর্শনার্থী আসা শুরু হবে এখানে।

সরেজমিন স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সপ্তাহের প্রতিদিনই দেশ-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা অসংখ্য পর্যটকের দেখা মিলত পুঠিয়া রাজবাড়ীতে। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর থেকে দর্শনার্থী নেই বললেই চলে। স্থানীয়দের ধারণা, দেশের বর্তমান অস্থির পরিস্থিতির কারণে রাজবাড়ীতে পর্যটকের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে গেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে তারা এখানে আসা থেকে বিরত থাকছেন। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে একটু সময় লাগবে।

পর্যটক উপস্থিতি আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ায় বর্তমানে রাজবাড়ী ও জাদুঘর কর্তৃপক্ষ রাজবাড়ীর চারিদিকে বিভিন্ন গাছ ও উপকরণ দিয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে। বাহারি হরেক রকমের ফুল গাছ দিয়ে সাজানো হচ্ছে রাজবাড়ীর চৌহদ্দি। এতে অচিরেই দর্শনার্থী আকৃষ্ট হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। 

পুঠিয়া রাজবাড়ী ও এর আশপাশে রয়েছে রাজাদের স্মৃতিবিজড়িত বড় গোবিন্দ মন্দির, ছোট গোবিন্দ মন্দির, বড় শিবমন্দির, ছোট শিবমন্দির, বড় আহ্নিক মন্দির, ছোট আহ্নিক মন্দির, জগধাত্রী মন্দির, দোল মন্দির, রথ মন্দির, গোপাল মন্দির, সালামের মঠ, খিতিশ চন্দ্রের মঠ, কেষ্ট খেপার মঠ, হাওয়া খানা, রানিঘাটসহ ১৫টি প্রাচীন স্থাপনা।

পুঠিয়া প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকার ব্যবসায়ীরা বলেন, দেশের এমন প্রেক্ষাপটের কারণে দর্শনার্থী অনেক কমে গেছে। সেই সঙ্গে কমে গেছে আমাদের ব্যবসা। এতে করে প্রতিদিন লোকসানে আছি। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলাম। ঘর ভাড়া ও ঋণের টাকা এখন মাথার ওপরে বোঝা। যত দ্রুত দর্শনার্থী আসবে ততই আমাদের জন্য মঙ্গল।  

পুঠিয়া রাজবাড়ী ও জাদুঘরে ঘুরতে আসা আমিনুল হোসেন বলেন, রাজবাড়ী ও জাদুঘর ঘুরতে এসেছি। ঘুরে অনেক কিছু দেখলাম। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার যে, পুঠিয়া রাজবাড়ী বর্তমানে দর্শনার্থী-শূন্য বললেই চলে। আশা করি, দেশ আবার আগের মতো স্বাভাবিক হলে ঐতিহ্যময় জায়গাগুলোতে দর্শনার্থী আসতে শুরু করবে।




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close