ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সিন্ডিকেটমুক্ত চান ব্যবসায়ীরা
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৮:৩২ পিএম  (ভিজিট : ১৯৬)
বৈধ লাইসেন্স প্রাপ্ত সকলের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত থাকতে হবে। অন্য ১৩ দেশ যে প্রক্রিয়ায় কর্মী নিয়োগ করে বাংলাদেশেও একই পদ্ধতি থাকতে হবে। বিতর্কিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত এফডব্লিউসিএমএস অনলাইন পদ্ধতি বাদ দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বায়রা (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ব্যবসায়ীরা। 

ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে এই সময়ে বায়রা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কর্মী পাঠাতে সিন্ডিকেট চক্রের তৎপরতা বন্ধের দাবি জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে ৮দফা দাবি পেশ করে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করা বায়রার ৮দফা দাবিগুলো হচ্ছে, ১. সিন্ডিকেটের মূল হোতা রুহুল আমিন স্বপনসহ সিন্ডিকেটের পরিকল্পনাকারী, বাস্তবায়নকারী, নিয়ন্ত্রণকারী আওয়ামী লীগ সরকারে জড়িত মন্ত্রী এমপি ও নেতাদের অনতিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে। 

২. কোনোক্রমেই সাবেক স্বৈরাচারী সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সিন্ডিকেটে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। যদি সিন্ডিকেট করার পুনরায় সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে বর্তমান সরকারের সঙ্গে আগের সরকারের কোনো পার্থক্য থাকবে না। 

৩. দুই দেশের এমওইউ সন্নিবেশিত বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়া সরকার সিলেকশন করার সুযোগ বাতিল করতে হবে। রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি সিলেকশন করবে নিয়োগকর্তা। সিন্ডিকেট মুক্তভাবে সব এজেন্সি কম খরচে বা বিনা খরচে কর্মী পাঠানোর জন্য মন্ত্রণালয় পক্ষ থেকে সেন্ট্রাল অনলাইন পদ্ধতিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

 ৪. সিন্ডিকেটের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে নির্দিষ্ট সময়ে যেসব কর্মী যেতে পারেনি, তাদেরকে কম খরচে সিন্ডিকেটমুক্তভাবে পুনরায় মালয়েশিয়া পাঠাতে হবে। 

৫. নেপালসহ অন্যান্য ১৩টি দেশ থেকে মালয়েশিয়া যে প্রক্রিয়ায় কর্মী গ্রহণ করে ঠিক বাংলাদেশ থেকেও একই প্রক্রিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে হবে। 

৬. বিতর্কিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত এফডব্লিউসিএমএস অনলাইন পদ্ধতি বাদ দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অনলাইন পদ্ধতি এবং মালয়েশিয়া সরকারের প্রস্তাবিত ই-প্যাক্স বা ম্যানুয়াল পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।

 ৭. এফডব্লিউসিএমএস অনলাইন এর মাধ্যমে মেডিকেল পদ্ধতি বাদ দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত যে কোন মেডিকেল সেন্টারের মাধ্যমে মেডিকেল চেকআপ করার ব্যবস্থা করতে হবে। ৮. ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে চালু হওয়া দূতাবাসের সত্যায়ন অব্যাহত রাখা এবং সিন্ডিকেটকে সহায়তাকারী সাবেক ফ্যাসীবাদী আমলে নিয়োগকৃত মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের অপসারণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বায়রার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রিয়াজ উল ইসলাম বলেন, অনিয়ম, দুর্নীতি ও অতিরিক্ত অভিবাসনের কারণে চলতি বছর ৩১ মে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ায় ৫০ হাজার কর্মী সেখানে যেতে পারেনি। যার মধ্যে ১৭ হাজার ছিল চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করা। যার ফলে কর্মী ও এই সেক্টরের উদ্যোক্তারা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিন্ডিকেটের কারণে মালয়েশিয়া যাওয়া কর্মীদেরকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়েছে, যেখানে সিন্ডিকেটের চাঁদা ছিল জনপ্রতি ১ লাখ ৫২ হাজার টাকা। এই অতিরিক্ত চাঁদার কারণে বড় বড় কোম্পানি গুলো, যারা বিনা পয়সায় কর্মী নেয়, তারাও বাংলাদেশ থেকেও কর্মী না নিয়ে নেপাল থেকে নিয়েছে। অনেকে আবার কর্মী নিতেই পারেনি। এই সিন্ডিকেটের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে শ্রম বাজার বন্ধ হওয়ায় ৫০ হাজার কর্মী যেতে পারেনি।

সংবাদ সম্মেলনে বায়রার যুগ্মসচিব ফখরুল ইসলাম, সিনিয়র সদস্য খন্দকার আবু আশরাফ, কার্যনির্বাহী সদস্য কামাল উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সময়ের আলো/এম 




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close