ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

কিশোরগঞ্জে একটি পূজামণ্ডপে সবগুলো প্রতিমা ভেঙ্গে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪, ১:৪০ পিএম  (ভিজিট : ১২৪৪)
কিশোরগঞ্জ শহরের বত্রিশ গোপীনাথ জিউর আখড়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা মণ্ডপের সবগুলো প্রতিমা ভেঙ্গে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পর জরুরি বৈঠক করেছে জেলা প্রশাসন। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ভোররাতে জেলা শহরের বত্রিশ এলাকার শ্রী শ্রী জিউর আখড়া প্রাঙ্গণে গোপীনাথ সংঘের পূজামণ্ডপে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ভাংচুর করা হয় মণ্ডপের সবগুলো প্রতিমা।

স্থানীয়রা জানান, শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে শ্রী শ্রী গোপীনাথ জিউর আখড়ায় দুর্গা প্রতিমা বানানোর কাজ চলছিল। গত ভোর রাতে কে বা কারা আখড়ার দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে দুর্গা, কার্তিক, গনেশসহ সবগুলো প্রতিমা ভেঙ্গে ফেলে।খবর পেয়ে সকালে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

পুলিশ জানায়, কিশোরগঞ্জের এই আখড়াটিতে প্রথমবারের মতো দুর্গার প্রতিমা বানিয়ে পূজার আয়োজন করা হচ্ছে। রাতভর নিরাপত্তার কারণে কড়া পাহাড়ায় আখড়ায় স্থানীয় গোপীনাথ সংঘ সংগঠনের ছেলেরা মন্দির পাহাড়ায় ছিলেন।রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সংগঠনের পাঁচ সদস্য জেগে ছিলেন।এ ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নারায়ণ দত্ত প্রদীপ জানান, কিশোরগঞ্জে সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকে। এটি দুর্বৃত্তদের কাজ। পূজার আগ মূহুর্তে যারা এ রকম ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ হাছান মাহমুদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জেলা প্রশাসক ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে মাঠে নেমেছে পুলিশ। তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। আশপাশের সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক, তাদের ছাড় দেয়া হবেনা।

এ দিকে এ ঘটনার পর দুপুরে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের সভাপতিত্বে কালেক্টরেট সভাকক্ষে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশ সুপার, সেনাবাহিনী ও র‌্যাবসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন। সভায় প্রতিমা ভাঙচুরের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য দাবি জানান হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা। এ ঘটনার পর জেলার সবগুলো পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। এবার কিশোরগঞ্জের ১৩টি উপজেলায় ৩৬৩টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।


সময়ের আলো/এএ/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close