ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঝুঁকি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৩:০০ এএম আপডেট: ০৩.১০.২০২৪ ৭:৫৮ এএম  (ভিজিট : ৩২১)
কয়েক মাসের আন্তঃসীমান্ত হামলার পর লেবাননে সপ্তাহব্যাপী ভয়াবহ বোমা হামলা চালায় ইসরাইল। সবশেষ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সে দেশে গতকাল মঙ্গলবার স্থল অভিযান শুরু করেছে তারা। পাল্টা প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইরান ইসরাইলে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে। 

বিকল্প ধারার সংবাদমাধ্যম ট্রুথ আউটের এক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, হিজবুল্লাহকে দমন করার পাশাপাশি গাজার পর যুদ্ধের এই দ্বিতীয় ফ্রন্ট খোলার ক্ষেত্রে ইসরাইলের আরেকটি লক্ষ্য আছে। তা হলো ইরানকে একটি আঞ্চলিক যুদ্ধে প্রলুব্ধ করা। তেমনটা হলে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অন্যান্য পশ্চিমা শক্তিগুলোকে ইসরাইলকে সমর্থন করার জন্য চাপ দেওয়া যাবে। এমন প্রেক্ষাপটে স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ইউরোপীয় কমিশনের পক্ষ থেকে ভয়াবহ আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্লেষকরাও বলছেন, লেবাননে চালানো এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যে একটি সর্বাত্মক যুদ্ধের ঝুঁকিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে।

লক্ষ্যবস্তু যখন লেবানন : অক্টোবর থেকে লেবাননের দক্ষিণে বোমাবর্ষণ চলছে। তবে ইসরাইলি হামলা ক্রমাগতভাবে দেশটির আরও বেশি অংশ জুড়ে বিস্তার লাভ করছে। গত শুক্রবার ইসরাইল ২ হাজার পাউন্ডের বোমা ফেলেছে, যা অন্তত ছয়টি আবাসিক ভবনকে গুড়িয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে ওই বোমা হামলার মাধ্যমে। বৈরুতভিত্তিক দ্য পাবলিক সোর্সের এডিটর-অ্যাট-লার্জ সিনথিয়া ইসা ট্রুথ আউটকে বলেছেন, ‘ইসরাইল স্থল আক্রমণের আগে যতটা সম্ভব দক্ষিণে কার্পেট বোমা ফেলার চেষ্টা করেছে।’ তার মতে, ইসরাইল আবারও দক্ষিণে আক্রমণ ও দখলদারির চেষ্টা করবে। অন্তত লিটানি নদী পর্যন্ত কিংবা তার থেকেও বেশি।

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে শনিবার ভোর পর্যন্ত ইসরাইলি হামলা অব্যাহত ছিল। ৮৫টি বাঙ্কার-ব্লাস্টার বোমার মাধ্যমে চালানো এই হামলা লেবাননে সবথেকে বড় ইসরাইলি আক্রমণ। বিস্ফোরণগুলো এত শক্তিশালী ছিল যে হত্যার শিকারদের দেহাবশেষ শনাক্ত করাও কঠিন ছিল। তবে ধারণা করা হচ্ছে, শুক্রবার রাতেই শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইল পৃথকভাবে নাসরাল্লাহর মৃত্যুর ঘোষণা করার পরও ইসরাইল কেন্দ্রীয় বৈরুতসহ শহরতলিতে হামলা থামায়নি। ট্রুথ আউট বলছে, এ থেকে প্রমাণ হয়, নাসরাল্লাহ কিংবা তার হিজবুল্লাহ নয়; ইসরাইলের লক্ষ্য গাজা থেকে লেবাননে বছরব্যাপী যুদ্ধের সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে সম্মিলিত শাস্তি নিশ্চিত করা।

লেবাননে বর্ধিত বোমাবর্ষণের এক সপ্তাহের মাথায় বৈরুতের দক্ষিণের শহরতলি দাহিয়ায় বোমাবর্ষণ শুরু হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টার দিকে দক্ষিণ লেবাননের কয়েক ডজন শহরে বোমাবর্ষণ শুরু করে ইসরাইল। এর আগে মাসব্যাপী সেখানে সীমিত পর্যায়ের যুদ্ধ চালিয়েছে তেলআবিব। ইসরাইল তখন ঘোষণা করে যে তারা পূর্ব লেবাননের বেকা উপত্যকায় বোমা হামলা বিস্মৃত করছে। একই সঙ্গে বেসামরিক নাগরিকদের দুই ঘণ্টার মধ্যে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেদিন দিনভর বোমা হামলা অব্যাহত থাকায় পূর্ব ও দক্ষিণ লেবানন উভয় দিক থেকে কয়েক হাজার মানুষ পালিয়ে যায়। অস্থায়ী বিদ্যালয় দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্র রূপান্তর হয়। গাজা উপত্যকার ভয়াবহ বাস্তবতার প্রতিফলন দেখা যায় সেখানে।

লেবাননে ইসরাইলি হামলায় কেবল ওই ২৩ সেপ্টেম্বরেই ৫৫৮ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে ৫০ শিশু এবং ৯৪ জন নারী ছিলেন। বোমাবর্ষণের মাত্রা এবং এর ফলস্বরূপ মৃত্যুর হার, লেবাননের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের ইসরাইলের মাসব্যাপী যুদ্ধের যেকোনো দিনের চেয়ে বেশি। ৩৫ বছর আগে দেশের গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে এটি ছিল লেবাননের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক দিন। 

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির অনুমান, চলমান বোমা হামলার কারণে ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লেবাননের প্রায় ১ মিলিয়ন মানুষ তাদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজারের বেশি মানুষের।

১৮ এবং ১৯ সেপ্টেম্বর লেবাননজুড়ে পেজার এবং ওয়াকিটকিতে আক্রমণের কয়েক দিন পরে ইসরাইল তার বোমা হামলার প্রচারণা শুরু করে। এ পর্যায়ে উত্তেজনা বৃদ্ধির নেপথ্যে ছিল ওই পেজার ও ওয়াকিটকিতে হামলা। আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছিল ওই হামলার মধ্য দিয়ে। হামলার শিকার পেজার ও ওয়াকিটকিগুলোর একাংশ হিজবুল্লাহ সদস্যরা ব্যবহার করত। তবে অনেক সাধারণ মানুষও এসব ব্যবহার করত। সে কারণে সুপার মার্কেট, গাড়ি ও বাড়িতেও বিস্ফোরণ ঘটেছিল। ব্রিটিশ-ফিলিস্তিনি ডাক্তার ঘাসান আবু-সিত্তাহ পেজার হামলাকে গণহত্যার সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ট্রুথ আউটকে তিনি বলেছেন, পেজার বোমা হামলাগুলো হত্যার পরিবর্তে পঙ্গুত্ব নিশ্চিত করার মতো করে নকশা করা হয়েছিল, যার ফলে অসংখ্য হাত কাটা এবং চোখ হারানোর ঘটনা ঘটেছে।
গাজার মতো পরিচিত দৃশ্য : গত দুই সপ্তাহে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও ইসরাইল থামার কোনো লক্ষণ দেখায়নি। পরিবর্তে লেবাননের শহরগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছে। যদিও তেলআবিবের দাবি, তার লক্ষ্যবস্তু হিজবুল্লাহ আসলে তা নয়। তারা যৌথ শাস্তি এবং গণমৃত্যু ঘটাচ্ছে।

২৩ সেপ্টেম্বর ইসরাইল লেবাননের বিরুদ্ধে তার যুদ্ধ দক্ষিণ থেকে দেশের বাকি অংশে প্রসারিত করে। পাশাপাশি ইসরাইল গাজার ওপর তার বছরব্যাপী যুদ্ধে ব্যবহৃত পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করতে শুরু করে। বেকা উপত্যকায় হামলা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বেসামরিকদের ওই অঞ্চলে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। ইসরাইল দাবি করে, তারা সেই বাড়িগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে যেখানে হিজবুল্লাহ অস্ত্র সঞ্চয় করেছিল। তাদের দুই ঘণ্টার মধ্যে ঘর ছাড়তে বলা হয়।

ইসরাইল প্রায়শই এই ধরনের সতর্কতা ব্যবহার করে। তারা দেখাতে চায় যে, যুদ্ধের আন্তর্জাতিক আইন তারা মেনে চলছে। তবে ট্রুথ আউটের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এগুলো মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের কৌশল এবং বারবার জাতিগত নিধনের কাজে ব্যবহার হয়। বাসিন্দারা জানেন না অস্ত্র কোথায় মজুদ করা হয়েছে এবং অস্ত্র থাকার কথা বলে ইসরাইল প্রাথমিকভাবে যে সামরিক স্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেখানে অস্ত্র পাওয়া যায়নি। উদাহরণস্বরূপ, শনিবার ১০০ জনেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয়স্থল সাইদার এক ভবনে বোমা হামলা চালায় ইসরাইল। সেখানে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়।

দ্য পাবলিক সোর্সের এডিটর-অ্যাট-লার্জ সিনথিয়া ইসা ট্রুথ আউটকে বলেন, ‘আমরা গাজার মতো করে আমাদের কাছে পরিচিত দৃশ্যগুলো দেখতে শুরু করেছি।’ বাস্তুচ্যুতরা স্কুল, মসজিদ, গির্জা ও কমিউনিটি সেন্টারে আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ রাস্তায় ঘুমাচ্ছে। তবে বাস্তুচ্যুতদের জন্য মাথার ওপর ছাদ যোগাড় করা দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে। কেননা নিরাপদ স্থানগুলো সংকুচিত হতে শুরু করেছে।

গাজার মতো ইসরাইল লেবাননেও তার আক্রমণে বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা এবং প্যারামেডিকদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। শুধু এই গত সপ্তাহান্তে ইসরাইলের বোমা হামলায় ৪৮ ঘণ্টায় ১৪ জন প্যারামেডিক নিহত হয়েছে। ইসরাইল বিশেষ করে লেবাননের দক্ষিণে হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছে, আগামী দিন এবং সপ্তাহগুলোতে হত্যাকাণ্ডের সম্ভাবনা বাড়িয়েছে।

হামলার লক্ষ্যবস্তু শুধু লেবানিজই নয়; লেবাননে এ পর্যন্ত ইসরাইলি বোমা হামলায় শতাধিক সিরীয়র মৃত্যু হয়েছে। ২৬ সেপ্টেম্বর ইসরাইল বেকা উপত্যকায় সিরিয়ার শ্রমিক ও তাদের পরিবারের আবাসন একটি বিল্ডিং বোমা হামলায় কমপক্ষে ১৯ জন সিরিয়ান এবং একজন লেবানিজ নিহত হয়।

লেবাননে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন সিরীয় উদ্বাস্তু যারা গত এক দশকে দেশটিতে প্রতিবিপ্লব ও যুদ্ধের পর সিরিয়া থেকে পালিয়ে সেখানে গেছে। তবে ইসরাইল বোমা হামলা চালানোর পর গত কয়েক দিনে লেবানন থেকে কয়েক হাজার মানুষ সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে।

এদিকে ইরান থেকে ইসরাইলের দিকে প্রায় ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল বলে দাবি করেছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তাদের দাবি, এর বেশিরভাগই ধ্বংস করা হয়েছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান হামলার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, ইরানের নাগরিক ও স্বার্থরক্ষার থেকে এটি একটি ‘অবধারিত’ প্রতিক্রিয়া।

আঞ্চলিক যুদ্ধের ঝুঁকি : লেবাননে ইসরাইলের বোমাবর্ষণ এবং দেশটির বিরুদ্ধে তার যুদ্ধের দ্বিতীয় ফ্রন্টের সূচনা হল গাজার ওপর এক বছরের গণহত্যার ধারাবাহিকতা। ট্রুথ আউটের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের অন্যান্য প্রধান শক্তিগুলোর প্রত্যক্ষ সবুজ সংকেতে এই আগ্রাসন সম্ভব হয়েছে। মূলধারার সংবাদমাধ্যমে গাজায় গণহত্যাকে ইসরাইল স্বাভাবিক ব্যাপার আকারে হাজির করতে সমর্থ হয়েছে। লেবাননে গত দুই সপ্তাহে ১ হাজারের বেশি মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে। লেবাননের আক্রমণকে বিবিসি এটিকে একটি কৌশলগত বিজয় আখ্যা দিয়েছে।

বৈশ্বিক শক্তিগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, প্রকাশ্যে উত্তেজনা নিরসনের আহ্বান জানালেও একই সঙ্গে ইসরাইলকে সাহায্য এবং প্রতিরক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, খরচ যাই হোক না কেন। বাইডেন ইসরাইলকে রক্ষার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত সৈন্য ও যুদ্ধবিমান পাঠানোর প্রস্তাবে স্বাক্ষর করার আগে যুদ্ধবিরতির জন্য পরিচিত ফাঁপা ডাক দিয়ে নাসরাল্লাহর হত্যার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন।

স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোস ম্যানুয়েল অ্যালবারেজ বলেছেন, আমরা মধ্যপ্রাচ্যে একটা সর্বাত্মক ও বিস্তৃত যুদ্ধের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছি। একই রকম মত প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের পররাষ্ট্রবিষয়ক মুখপাত্র পিটার স্ট্যানো। ইসরাইলে ইরানের মিসাইল হামলার সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, যেকোনো সময় যুদ্ধ সারা মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃত হতে পারে এবং অবশ্যই এ ব্যাপারে আগাম পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

দ্য পাবলিক সোর্সের এডিটর-অ্যাট-লার্জ সিনথিয়া ইসা ট্রুথ আউটকে বলছেন, এই বছরব্যাপী দুঃস্বপ্নের জন্য ক্রমবর্ধমান গণহত্যাকারী ইসরাইলের কাছ থেকে অস্ত্র ও সামরিক সমর্থন বন্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আরও চাপের প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য বৈশ্বিক শক্তির চাপ ছাড়া এবং অস্ত্র বন্ধ করে, ইসরাইল সম্ভবত তার যুদ্ধকে প্রসারিত করবে এবং রক্তপাতের বৃহত্তর আঞ্চলিক সম্প্রসারণের ঝুঁকি আরও বেশি হবে।

লন্ডনভিত্তিক নর্থ ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক পাবলো ক্যালডেরন মার্টিনেজ সংবাদমাধ্যম নর্থ ইস্টার্ন গ্লোবকে বলেন, লেবাননে ইসরাইলের স্থল অভিযানের সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক যুদ্ধে মোড় নিতে পারে। এখান থেকে সরে আসা খুব সহজ হবে না।


সময়ের আলো/আরএস/




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close