প্রকাশ: বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪, ৭:০৯ এএম (ভিজিট : ১১৬)
ফরিদপুর পৌরসভার গুহলক্ষ্মীপুর এলাকায় হঠাৎ কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কুমারনদ তীরবর্তী কয়েকটি ঘর, গাছপালা চলে গেছে নদীগর্ভে। আশপাশের কয়েকশ মিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন দেখা দেওয়ায় আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে নদের তীরের কয়েক হাজার মানুষ। এ ছাড়া ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে ২০ থেকে ২৫টি বসতবাড়ি, সরকারি রাস্তা, ব্রিজ, মসজিদ, মাদরাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। কেউ কেউ ব্যক্তিগত অর্থে ধস ও ভাঙন ঠেকাতে বাঁশ ও গাছের বল্লি দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা চালালেও তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিনের প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে নদপারের বিশাল একটি অংশজুড়ে ফাটল সৃষ্টি হয়। এতে কয়েকশ পরিবার ছিল আতঙ্কের মধ্যে। গত বুধবার হঠাৎ শুরু হয় নদপারের বসতবাড়ি ধসে পড়ার ঘটনা। কয়েক দিন ধরে নদপারের বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি ধসে পড়ে। এ ঘটনায় গুহলক্ষ্মীপুর ও ভাটিলক্ষ্মীপুর এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে নদের দুপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকার ২০-২৫টি স্থানে তীব্র ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। গুহলক্ষ্মীপুর এলাকার চুনাঘাটা ব্রিজ সংলগ্ন যেসব বাড়িঘর রয়েছে, তার মধ্যে মতিয়ার প্রামাণিকের বাড়ির বড় একটি অংশ কুমারনদে ধসে গেছে। এতে তার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। ভয়াবহ হুমকির মুখে রয়েছে তার পুরো বাড়িটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মতিয়ার প্রামাণিকের বাড়িটি রক্ষা করতে তিনি নিজ উদ্যোগে প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকায় গাছের বল্লি, বাঁশ, খুঁটি, মাটির বস্তা দিয়ে নিজের ভিটা রক্ষায় প্রাণপণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন। একই সাথে মোফাজ্জেল, আলেয়া বেগম, বিল্লাল প্রামাণিক, মঞ্জু ফকির, জাহিদ মোল্লাসহ বেশ কয়েকজনের বসতবাড়ি পড়েছে হুমকির মুখে। হুমকির মুখে রয়েছে একটি ব্রিজ, সরকারি রাস্তা, মসজিদসহ বেশকিছু স্থাপনা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, গত বছর কুমার নদ সংস্কার করার সময় নদের পাড় বাঁধানোর কথা থাকলেও ঠিকাদার সেই কাজ না করে নদী থেকে মাটি কেটে নেওয়ার কারণেই আজ এ অবস্থা। নদের হাত থেকে বসতবাড়ি, বিভিন্ন স্থাপনা ধসে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করতে দ্রুত সরকারিভাবে বরাদ্দ জরুরি। দ্রুত কাজ শুরু করা না হলে পৌরসভার গুহলক্ষ্মীপুর ও ভাটিলক্ষ্মীপুর এলাকার কয়েকশ মানুষ বসতবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়বেন। কুমার নদের ভাঙনের বিষয়ে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি জানার পর সরেজমিনে লোক পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সময়ের আলো/জিকে