ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ
পাকিস্তান ক্ষমা চাইলে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে সহজ হবে
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:৫৮ পিএম  (ভিজিট : ২৫২)
প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান গত একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ঘটানো কর্মকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে সহজ হবে। এক্ষেত্রে পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়ার সাহস দেখাতে হবে। ক্ষমা চাওয়া দোষের কিছু নয়। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯-তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ নিয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯-তম অধিবেশনের সাইড লাইনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে বাংলাদেশ একাত্তরের ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে এবং পাওনা ক্ষতিপূরণ মেটাতে বলেছে কিনা? এই সময়ে বাংলাদেশ কী একাত্তরকে পাস কাটিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে চাইছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, এটা সৌজন্য সাক্ষাত ছিল। সৌজন্য সাক্ষাতে আমরা কঠিন বিষয়ে আলোচনা করিনা। যখন আলোচনার টেবিলে বসব তখন আমরা এগুলো তুলব। আমরা একাত্তরকে বাদ দিয়ে কখনোই পাকিস্তানের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়তে চাই না। আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে অবশ্যই ভালো সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করব। তবে একাত্তরকে বাদ দিয়ে নয়।

গত এক সেপ্টেম্বর ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার অর্ন্তবর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেছেন যে একাত্তরের বিষয়টি তারা মিটিয়ে ফেলতে চান, দৈনিক সময়ের আলোর এই প্রতিবেদক বিষয়টি উল্লেখ করে প্রশ্ন করেন যে আপনার পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা কী? সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হলে পাকিস্তানের কী করা উচিত এবং বাংলাদেশ কোন জায়গায় ছাড় দিতে পারে? জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টা এমন যে গত ৫২ বছরে যে সমস্যা রয়েছে তা আগামীকালই সমাধান হবে বলে আমি বিশ্বাস করিনা। যখনই আমরা দুইপক্ষ সামনা সামনি আলোচনার টেবিলে বসব তখন ইস্যুটা থাকতে হবে। পাকিস্তানের হাইকমিশনার গত এক সেপ্টেম্বর যা বলেছেন সেই একই ধরনের কাছাকাছি বক্তব্য পাকিস্তানের নেতৃত্বের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে এসেছে। তবে আমরা যে সুস্পষ্ট বক্তব্য চাই সেটুকু আসেনি। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে পাকিস্তান সরকার যদি এই সাহসটুকু দেখায় যে তারা আসলে এখানে (বাংলাদেশে একাত্তরে) যে ঘটনা ঘটিয়েছিল সেটাকে তারা (পাকিস্তান) উদ্ধৃত করে বলে যে সেটার জন্য তারা আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। পাকিস্তান সরকার যদি এই কথাটুকু বলে তাহলে দোষের কিছু নাই। জাপান কিন্তু তাদের কৃতকর্মের জন্য গত ৭০ বছরধরে মাফ চেয়ে যাচ্ছে। আমি এখানে বলতে পারি যে পাকিস্তান যদি সাহস করে ক্ষমা চাওয়ার কথাটুকু বলতে পারে, তবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক এবং ঠিক হতে সহজ হবে। পাশাপাশি আমি আরো মনে করি যে এই কারণে সম্পর্ক আটকে রাখাও ঠিক না।

দৈনিক সময়ের আলোর এই প্রতিবেদক বলেন যে পাকিস্তান বলে যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে এই ইস্যুর সমাধান হয়ে গেছে। বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন? জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমি মনে করি যে তারা ক্ষমা চাইলে বিষয়টা সহজ হয়ে যায়। এটাই ইস্যুটা সমাধানের সঠিক পন্থা। এরপরও এইটা আমাদের মনে থাকবে। কিন্তু সম্পর্কের ক্ষেত্রে যেন কোনো প্রতিবন্ধকতা না হয় সেজন্য ক্ষমা চাওয়াটাই ভালো পদ্ধতি। আর এটা কবে আসবে, আসবে কিনা, আমি জানিনা। আমি মনে করি যে স্বার্থ যেখানে আছে সেখানে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই উচিত। আমাদের যেটুকু স্বার্থ আছে আমরা সে অনুযায়ী সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাব।

সময়ের আলো/জেডআই




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close