ই-পেপার সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪
সোমবার ৭ অক্টোবর ২০২৪

বিপ্লবের পর নতুন করে ভাবতে পারছি, যা আগে পারতাম না: রাবি উপাচার্য
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:৪৮ পিএম  (ভিজিট : ১২৮)
ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর নতুন করে আমরা ভাবতে পারছি, যা আগে ভাবতে পারতাম না। সমাজে বিভিন্ন প্রভাবক গ্রুপ আছে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলে কাজ করে। বাংলাদেশে বয়ান তৈরির একটা নির্দিষ্ট গোষ্ঠী আছে, এর বাইরে কেউ চাইলে তাদের বাঁধা দেওয়া হয়। কোনো বিষয়কে যেভাবে অতি সরলীকরণ করা হয়, সেটা আসলে করা অনুচিত। এজন্য সবাইকে শেখার পথে এগিয়ে আসতে হবে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকালে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের যৌথ আয়োজনে ডিনস্ কমপ্লেক্স ভবনের কনফারেন্স কক্ষে ‘বাংলাদেশে শিকারি সাংবাদিকতার উত্থান’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব এসব কথা বলেন।

সেমিনারে পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফের সঞ্চালনায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ-আল মামুন। তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিভ্যুলেশনের পর আধুনিক রাষ্ট্র, নাগরিক, সাংবাদিকতার ধারণায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। গত শতকের পঞ্চাশের দশকের পর দেখা যাচ্ছে মিডিয়ার মালিকানা অল্প কিছু কর্পোরেশনের হাতে সংকুচিত হয়ে গেলো। এ থেকে সাংবাদিকতার ওয়াচডগ ভূমিকা থেকে সরে এসে কোলে বসা থাকা কুকুরের মতো ল্যাপডগের ভূমিকা পালন করছে। অর্থাৎ মালিকানার স্বার্থ বাস্তবায়নে কাজ করতে শুরু করলো।

অধ্যাপক মামুন আরও বলেন, মিডিয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বটে। তবে তারা সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে মালিকানা, বিজ্ঞাপন, সোর্সের মতো ফিল্টার ব্যবহার করে। আমাদের এখানে আশির দশকে একটা ল্যাম্পেন বুর্জোয়া শ্রেণি গড়ে উঠেছে। পরে নব্বইয়ের দশকে এরা মিডিয়ার মালিকানা এবং পরে পার্লামেন্টে পর্যন্ত অংশগ্রহণ করেছে। এ ছাড়া প্রযুক্তির বিকাশে মিডিয়াগুলো এখন ভুক্তভোগী/শিকারকে শিকারি হিসেবেও উপস্থাপন করছে। তিনি বাংলাদেশে ২০০৭ সালের পর থেকে শিকারি সাংবাদিকতার বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরেন।

সভাপতির বক্তব্যে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হোসেন বকুল বলেন, সাংবাদিকদের কাজই শিকার করা। এটা ইতিবাচক বা নেতিবাচক হতে পারে। কাউকে টার্গেট করে তার ঘটনা সবার সামনে তুলে আনা, দুর্নীতি অপকর্ম প্রকাশ। এটা যখন নেতিবাচক ভাবে উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য করা হয় তখন বিষয়টা অন্যদিকে মোড় নেয়।

তিনি আরও বলেন, অনেক ঘটনা ঘটার আগে সাংবাদিকদের ইনফর্ম করা হয়। তারা আসলে তারপর ঘটনা ঘটে। একটা গোষ্ঠী আছে যারা নিজেরাই নিউজ হতে চায় আসলে। কাঙাল হরিনাথের সময়কালের সাংবাদিকতা এখন খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। কারণ সব মিডিয়া গুলো কোনো একটা কর্পোরেট গ্রুপের অধীনে। যতদিন এই মালিকানা এমন থাকবে ততদিন প্রিডেটরি জার্নালিজম চলতে থাকবে।

সেমিনারে পিআইবির পরিচালক (প্রশিক্ষণ) অতিরিক্ত দায়িত্ব পারভীন সুলতানা রাব্বী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক তানভীর আহমদ, সহযোগী অধ্যাপক শাতিল সিরাজ, অধ্যাপক মশিহুর রহমান, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানসহ সাংবাদিকতা বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী, ক্যাম্পাস ও শহরের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

সময়ের আলো/আরআই




এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close