ই-পেপার রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪
রোববার ৬ অক্টোবর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণত্রাণ কর্মসূচির পূর্ণাঙ্গ অডিট প্রকাশ
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:৪৩ পিএম  (ভিজিট : ২৬৬)
দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গৃহীত গণত্রাণ কর্মসূচির পূর্ণাঙ্গ অডিট প্রকাশ করা হয়েছে।

পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গণত্রাণ কর্মসূচিতে মোট ১১ কোটি ৬৯ লাখ ৮৪ হাজার ৪২০ টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্যদিকে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৩৩ হাজার ২০৭ টাকা। বর্তমানে দুটি ব্যাংক একাউন্টে ত্রাণের মোট ৯ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ২১৩ টাকা জমা রয়েছে। 

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত ৯ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অডিট প্রকাশ করা হয়। অডিট প্রকাশ করেন পি কে এফ আজিজ হালিম খায়ের চৌধুরী চার্টার্ড একাউন্টের পার্টনার গোলাম ফজলুল কবির। 

গোলাম ফজলুল কবির বলেন, আমাদের গত ১০ সেপ্টেম্বর অডিটের জন্য ডাকা হয় যা ৩০ সেপ্টেম্বর আমরা শেষ করি। সব মিলিয়ে ২০ দিন সময় লাগে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাক্তিগত একাউন্টে টাকা নিয়েছিলো। পরে ব্যক্তিগত একাউন্ট তৈরি করে সেখানে ট্রান্সফার করা হয়। এছাড়া ২ লাখ টাকার কয়েন আমাদের হিসাব করতে হয়। এরপর স্ক্র‍্যাপ, স্বর্ণ বিক্রি করেও অর্থ পাওয়া যা পরে যোগ হয়। আয়-ব্যায়ের হিসেব স্বচ্ছ করতেই মূলত হিসেব দিতে দেরি হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, গত ৪ তারিখ আমরা ত্রাণ কার্যক্রম স্থগিত করার পরও তহবিলে টাকা যুক্ত হয়েছে। কিছু চেক যেগুলো শুরুতে কোনো কারণে ক্যাশ করা যায়নি সেগুলো পরে ক্যাশ করা হয়েছে। যেমন- আমাদের প্রথমে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে কোনো একাউন্ট ছিল না ফলে চেকগুলো ব্যবহার করা যায়নি।  কিন্তু পরে যখন একাউন্ট করা হয় তখন সেগুলো ব্যবহার করা যায়। কিছু গহনা স্ক্র‍্যাপ বিক্রি করা হয়েছে যেগুলোর অর্থ আমরা পরে যোগ করতে পেরেছিলাম। এছাড়াও আমরা অনেক কয়েন পেয়েছিলাম যেগুলো তখন গোনা সম্ভব হয়নি। পরে গোনার পর সেগুলোর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে  ২ লাখ টাকার  বেশি। ফলে অর্থের পরিমাণ বেড়ে যায়।

সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, স্বচ্ছতার জায়গার জন্য হিসাব প্রকাশে  সময় নেওয়া হয়েছে। খুটিঁনাটি প্রতিটি বিষয়ের হিসাব এই অডিটে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমাদের অনেকে ব্যক্তিগত একাউন্টে টাকা দিয়েছিল সেগুলোও এই হিসাবের আওতায় আনা হয়েছে। এই ২০ দিনে প্রতিটি দোকানে কখন কত টাকার জিনিস কেনা হয়েছে,কোথায় কত টাকার জিনিস দেওয়া হয়েছে, ভলান্টিয়ারদের পেছনে কত খরচ হয়েছিল, কতটি কয়েন ছিল, কত টাকার গহনা ছিল সব উঠে এসেছে। এখানে একটা টাকাও এদিক সেদিক হওয়ার সুযোগ নেই। আমরা এতদিন  অনেক সমালোচনা শুনলেও প্রতিক্রিয়া দেখাইনি কেবল আজকের এই দিনের জন্য।   

উত্তরবঙ্গের বন্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে সারজিস আলম বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা শুধু খসড়া, দলিল পত্রে নয়। এর স্থায়ী সমাধান চাই। এজন্য সরকারকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

আরেক সমন্বয়ক লুৎফর রহমান বলেন, আমরা তহবিলের এই অর্থ সরকারের ত্রাণ মন্ত্রালয়ের মাধ্যমে পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রেরণ করব। এর মধ্যে ৮ কোটি টাকা পুনর্বাসন কার্যক্রমের জন্য ব্যয় করা হবে আর এর বাইরে যে টাকা সেটা দিয়ে উত্তর বঙ্গে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ইতোমধ্যে উত্তরবঙ্গে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সময়ের আলো/জেডআই




https://www.shomoyeralo.com/ad/1698385080Google-News-Update.jpg

সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত


ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, আমিন মোহাম্মদ মিডিয়া কমিউনিকেশন লিমিটেড এর পক্ষে প্রকাশক গাজী আহমেদ উল্লাহ
নাসির ট্রেড সেন্টার, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক (সোনারগাঁও রোড), বাংলামোটর, ঢাকা।

ফোন : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৬৮-৭৪, ফ্যাক্স : +৮৮-০২-৯৬৩২৩৭৫ | ই-মেইল : shomoyeralo@gmail.com
close